কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৫ আগস্ট, ২০১৯ ০১:০২

কমলগঞ্জ পৌরসভায় ২২ দিন যাবত নাগরিক সেবা বন্ধ

সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ও চাকুরি সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলন

সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ও চাকুরি সরকারিকরণের দাবিতে গত ২২ দিন যাবত ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী-কর্মকর্তারা। ফলে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের পৌরসভার তাদের কর্মসূচি পালন করতে ঢাকায় অবস্থান করার ফলে পৌরবাসী জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কমলগঞ্জ পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত থাকায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন পৌর নাগরিকরা জাতীয় সনদ, জন্মনিবন্ধন, জন্মসনদ, মৃত্যু সনদ, পৌরকর, ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন কাজ করতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পরেছেন পৌর নাগরিকরা।

কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মালাকার, মোস্তাক আহমদ, কুমড়াকাপন গ্রামের বাবুল মিয়া, কলেজ ছাত্রী হেপী বেগমসহ অনেক ভুক্তভোগী জানান, গত ২২ দিন যাবত কমলগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাদের কর্মস্থলে নেই। তারা তাদের দাবি-দাওয়া আদায় করতে ঢাকায় অবস্থান করায় আমাদের কাম-কাজে বারোটা বেজে গেছে। আমরা পৌরসভায় এসে কোনো কাজ করতে পারছি না, এ অবস্থায় পৌরসভার কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। যার ফলে জনসাধারণের মাঝে নানা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজারের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমে আছে।

আলাপকালে ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম জানান, বার বার পৌরসভায় ধরনা দিয়েও একটি জন্মসনদ উত্তোলন করতে পারছি না। কমলগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার আনসার শোকরানা মান্না জানান, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে সকল কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। নাগরিক, উত্তরাধিকারী, প্রত্যয়নপত্র নিতে আসা সেবা গ্রহিতারা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত দাবী মেনে নিয়ে পৌরসভাকে সচল করার দাবী জানান তিনি।

কমলগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ বেলাল চৌধুরী, কর নির্ধারক সুব্রত কর আপন, কর আদায়কারী আব্দুল হান্নান বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে বেতনের দাবিটি দীঘদিনের। এ দাবী আদায়েই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ন্যায্য এ দাবীর প্রতি গুরুত্ব দেবেন।

অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মোঃ কয়ছর মিয়া বলেন, ৫ মাস থেকে বেতন ভাতা পাচ্ছি না। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছি। মাসের পর মাস কাজ করে বেতন পাই না আমরা। অন্তত মাসিক বেতনটা যাতে রাজস্ব থেকে পাই এ দাবিতেই আমাদের এই আন্দোলন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত