দৈনিক প্রথম আলোর উদ্যোগে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে দক্ষিণ সুরমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গ্যালারী মিলনায়তনে শিক্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

প্রথম আলোর সিলেট ব্যুরো অফিসের স্টাফ রিপোর্টার সুমন কুমার দাশের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মেজর (অব:) মো. শাহ আলম পিএসসি, প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি প্রধান মনির হাসান।

অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ ফয়জুল হক,অধ্যক্ষ আব্দুল হক তাফাদার, প্রফেসর নাসির উদ্দিন আহমদ, প্রফেসর রজত কান্তি সোম, সহযোগী অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য, সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী লিপি চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক বাবলী পুরকায়স্থ প্রমুখ।

শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শোকাহত আগস্ট মাস উপলক্ষে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। সেই সাথে দৈনিক প্রথম আলো ও লিডিং ইউনিভার্সিটির দু’টি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ভালোর সাথে আলোর সাথে প্রথম আলো দেশ মাটি ও মানুষের কথা বলতে চায়। আমরা আগামী বিশ বছরের মধ্যে একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই।  

তিনি বলেন, সততার সাথে কাজ করে প্রথম আলো আজ সমাদৃত হয়েছে। যাত্রা শুরুর সাড়ে তিন বছরে প্রথম আলো প্রথম হয়েছে সকলের সহযোগিতায়। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। আবার একটি গোষ্ঠী দেশকে পিছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রতিদিন ভাবতে হয়, জানতে হয়, শিখতে হয়।

তিনি বলেন অনলাইন পত্রিকায় ‘ফেইক’ নিউজ বেড়ে গেছে। বর্তমানে যান্ত্রিক জীবনে মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। পত্রিকার পাঠক কমে যাচ্ছে। তারপরও আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করছি। পত্রিকার কাজ হচ্ছে জনসচেতনতা তৈরি করা।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভালো মেধাবীরা সাংবাদিকতায় আসতে চায় না। তারা সরকারি চাকুরীতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। পত্রিকায় বিভিন্ন ভুলত্রুটি থাকাটা স্বাভাবিক। এটা শোধরানোর চেষ্টা করছি। কলেজের শিক্ষকরা ছাত্রদেরকে পত্রিকা ও বই পড়ায় উৎসাহিত করবেন। এতে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে। আপনাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ থেকে ভালো কিছু হতে পারে।

মতিউর রহমান বলেন, সিলেট নিয়ে আমাদের বিশেষ পাতা এ অঞ্চলের পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে। বর্তমানে আমরা কৃষকদের সেরা কৃষক, সেরা কৃষি বিজ্ঞানী পুরস্কার এবং শিক্ষক সম্মাননা পুরস্কার চালু করেছি। বিভিন্ন  অবহেলিত জনপদে  ৫টি আলোর পাঠশালা চালু করে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর যাত্রার শুরুর পর থেকে আমাদের নিরপেক্ষতা পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আমরা ৪০টির মতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করে থাকি। প্রথম আলো শিক্ষাসহ সকল বিষয় নিয়ে কাজ করে।

সিলেটের প্রথম বেসরকারি ইউনিভার্সিটি লিডিং ইউনিভার্সিটির মনোরম গ্রামীণ পরিবেশ এবং  শিক্ষাক্রম ও ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এখানে  শিক্ষক মতবিনিময় সভার সুযোগ দেয়ার জন্য লিডিং ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

লিডিং ইউনিভার্সিটির লিডিং ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী দৈনিক প্রথম আলোর শিক্ষক মতবিনিময় সভা দক্ষিণ সুরমার রাগীব নগরস্থ সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে আয়োজন করায় সম্পাদক মতিউর রহমানকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।