কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ১৮:০১

সৌদি আরব গিয়ে নিখোঁজ কমলগঞ্জের রুবিনা, খোঁজ চা‍য় পরিবার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি গ্রামের সিদ্দেক আলীর মেয়ে রুবিনা বেগম (২৩)। রুবিনার বিয়ে হয় একই উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে ফুল মিয়ার সাথে। যার সংসার চলে দিনমজুরীর টাকায়।

বিয়ের সাত মাস পর স্থানীয় আদম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের মাধ্যমে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল সুখের আশায় রুবিনা পাড়ি জমায় সৌদি আরবে। এজন্য অবশ্য মোস্তফা কামালকে কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি রুবিনার পরিবার থেকে। পাসপোর্ট থেকে ভিসা, এমনকি বিমানের টিকেটও রুবিনাকে করে দেন মোস্তফা কামাল। সেখানে গৃহকর্মীর কাজ করবে রুবিনা। এমনই কথা ছিলো। যাওয়ার পাঁচ দিন পর মা-বাবার কাছে ফোন দিয়ে সে বলেছে যে সে ভালো আছে, কোন সমস্যা সমস্যা নেই।

কিন্তু ১৫ দিন যেতে না যেতেই বদলে যেতে থাকে রুবিনার স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথ। সে বাড়িতে ফোন করে ফোন করে বলে সৌদি আরবের দালাল তাকে গৃহকর্মীর কাজ না দিয়ে বাইরে বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক কাজে যেতে বাধ্য করছে। সে তাদের কথা না মানায় দালাল তাকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।

রুবিনার বাবা সিদ্দেক আলী ও স্বামী ফুল মিয়া জানান, তারা বারবার মোস্তফা কামালের কাছে রুবিনার খবর নিতে গিয়েছেন। তিন বলেছেন সে সৌদির জেলে আছে। পরে তাকে জেল থেকে মুক্ত করে আনা হবে বলেও জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল। কিন্তু বর্তমানে তার কোন খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবার।

এদিকে রুবিনার পরিবার একটি মাধ্যমে জানতে পেরেছে বর্তমানে রুবিনা দাম্মামের হাপরবাতেন সদর থানায় রয়েছে। নির্যাতনে তার শারীরিক অবস্থাও খুব খারাপ। এ ব্যাপারে আদম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের কাছে তার পরিবার বারবার ধর্না দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে বলেন, “তোমরা আমার কি করবে ? রুবিনার স্বামীকে মোস্তফা কামাল বলেছেন, ২৫ হাজার টাকা খরচ দিলে রুবিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে।”

এ ব্যাপারে আদম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাস ও প্রবাসী সহৃদয় বাঙালীদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন রুবিনার পরিবার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত