সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:০৩

রবীন্দ্রনাথ স্মরণোৎসব কমিটির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ

অভিযোগ শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজের

সিলেটে রবীন্দ্রনাথের আগমনের একশ' বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব’ কমিটি। এছাড়া রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজও এ উপলক্ষে আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তবে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব’ কমিটি নিজেদের আমন্ত্রণপত্রে ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচিও যুক্ত করে।

এতে সুধীমহলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হবে বলে মনে করছেন শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজের সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য ও সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস।

রোববার রাতে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব’ কমিটি আমন্ত্রণপত্রে ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ করার নিন্দা তারা বলেন, ‘ওই পর্ষদের এরকম আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেট সফরকালে শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজের আমন্ত্রণে দুদিন তিনি বন্দরবাজারস্থ ব্রহ্ম মন্দিরে এসেছিলেন। রবীন্দ্র আগমনের সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে বিশেষভাবে স্মরণ করার জন্য ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজ সিলেটে রবীন্দ্র আগমনের শতবর্ষপূর্তির পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নিজেদের অর্থায়নে পৃথকস্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সকাল ৭টায় চাঁদনীঘাট থেকে বন্দরবাজার ব্রহ্ম মন্দির পর্যন্ত শোভাযাত্রা, সকাল সাড়ে ৮টায় ‘শব্দে-ছন্দে রবীন্দ্র স্মরণ’। সন্ধ্যা ৬টায় রিকাবীবাজারস্থ কবি কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে ‘আজি এ আনন্দ সন্ধ্যা’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংকলন ‘পূর্বাপর’ এর মোড়ক উন্মোচন।

কিন্তু আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণ ২০১৯ পর্ষদের ফেসবুক ইভেন্টে একটি আমন্ত্রণপত্র নজরে আসে। তাতে তাদের অনুষ্ঠানমালায় ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ করা হয়, যা শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজ তাদের ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে। তাতে করে ব্রাহ্ম সমাজের পৃথক এবং নিজেদের অর্থায়নে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান নিয়ে সিলেটের সুধীমহলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণ ২০১৯ পর্ষদের এরকম আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। আমরা মনে করি পর্ষদের আমন্ত্রণপত্রে ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ থাকার কারণে সুধীমহলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে যে অনুষ্ঠানসূচিতে উল্লেখিত অনুষ্ঠানাদি ওই পরিষদই করছে। কিন্তু সত্য হলো ৫ নভেম্বরের সকল আয়োজনের মূলভিত্তি হলো শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজের প্রগতিশীল চেতনা, অসীম আবেগ ও সাহস।’

বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজ মনে করে রবীন্দ্র আগমনের শতবর্ষপূর্তির এই মুহূর্তে সিলেটের রবীন্দ্র অনুরাগী মানুষের সবধরনের আয়োজন একটা সমষ্টিগত শুভবোধের লক্ষণকে প্রকাশ করে। এই সম্মিলিত সমমনস্কতা একটা সমাজের গুণগত বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে। রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে সমস্ত আয়োজন কারো একার নয়, সবার। কিন্তু কর্মে অংশগ্রহণ না করে অন্যের শ্রমের ফসল ঘরে তোলা রবীন্দ্র-দর্শন কেন, পৃথিবীর কোন নীতি শিক্ষারই অংশ হতে পারে না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত