কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১৭:৩৫

মাধবপুর বাগানে চায়ের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ

বাগানের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্তের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) এর মালিকানাধীন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানে গত এক বছরে আশাতীত উৎপাদন লাভ করেছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে সার্বিক উন্নয়ন ও চায়ের উৎপাদন প্রত্যাশিত বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। তবে চা বাগানে অনিয়মতান্ত্রিক নানা পদক্ষেপ সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চা বাগানের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মাধবপুর চা বাগানে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাস থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বাগানে চা উৎপাদন হয় ২ লাখ ৭১ হাজার ১৪৩ কেজি। এ বছর মার্চ মাস থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চা উৎপাদন হয় ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৩ কেজি।

তবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চায়ের উৎপাদন মৌসুম রয়েছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে নানা ত্রুটি বিচ্যুতি কাটিয়ে প্লান্টেশনসমূহে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে ভূমিকা গ্রহণ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বাগানের সার্বিক উন্নয়ন ও চায়ের উৎপাদন আশানুরূপ হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের এসব তৎপরতা ও শ্রমিকদের চেষ্টার ফলে একদিকে বাগানের উন্নয়ন তরান্বিত হলেও দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত কতিপয় ব্যক্তিদের গাত্রদাহ শুরু হয়।

ফলে চা বাগানের অবৈধভাবে সুবিধাবঞ্চিত কিছু ব্যক্তিবর্গের অনিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপে চায়ের উৎপাদন ও চা শ্রমিকসহ বাগানের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সাধারণ শ্রমিকরা অভিযোগ তুলেছেন।

মাধবপুর চা বাগান শ্রমিক লক্ষ্মী নারায়ন কৈরী, রিপন নুনিয়া, এনামুল হক, রামলাল দাস, নাসির উদ্দীন, আব্দুল লতিফ, জামাল আহমদসহ অর্ধশতাধিক চা শ্রমিক জানান, বর্তমান কর্তৃপক্ষের দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে এবং চা শ্রমিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চায়ের উৎপাদন ও শ্রমিকদের নানাবিধ সমস্যার বিষয়টিও প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে কিছু অবৈধ সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে নানা সময়ে অনিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

শ্রমিকরা বলেন, ২৯ অক্টোবর চা বাগানে মাদক ব্যবসা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপককে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেন। বাগানের সার্বিক উন্নয়নের কথা ও শ্রমিকদের আর্থসামাজিক উন্নতির কথা বিবেচনায় রেখে ব্যবস্থাপককে পুনর্বহাল করার জন্য কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপককে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছি।

মাধবপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক চৌধুরী মুরাদ হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ পর্যন্ত দেড় লাখ কেজি বেশি উৎপাদন হয়েছে। চা বাগানের সার্বিক উন্নয়নে আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই।

ন্যাশনাল টি কোম্পানির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাহমুদ হোসেন জানান, মাধবপুর চা বাগানে উৎপাদন রেকর্ড যথেষ্ট ভালো। শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে। তবে বাগানের কম্পাউন্ডারের বাসা নিয়ে ভুল বোঝাবোঝির কারণে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে শ্রমিকরা সেটি বুঝতে পেরেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত