নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:০১

সিলেটে লেবার কোর্ট দ্রুত স্থাপনের দাবি চেম্বার সভাপতির

দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব সিলেটে লেবার কোর্ট দ্রুত স্থাপন করা জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সাথে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেট কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সিলেটের উপ-মহাপরিদর্শককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের মত নয়। এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কিছু কারখানা রয়েছে কিন্তু তেমন বৃহৎ কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। তাই শ্রম আইনের সকল ধারা সিলেটে প্রযোজ্য নয়।

তিনি বলেন, সিলেটের ব্যবসায়ীরা শান্তিপ্রিয় এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই শ্রম আইন সম্পর্কে ততটা অবগত নন। তাই তিনি আইন প্রয়োগের পূর্বে ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে অবগত করার আহবান জানান। এছাড়াও তিনি সিলেটকে পর্যটন নগরী বিবেচনায় দোকানপাট সমূহকে সাপ্তাহিক বন্ধের ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি প্রতিষ্ঠান মালিকদের সুবিধার্থে সিলেটে লেবার কোর্ট দ্রুত স্থাপন করা জরুরী বলে মন্তব্য করেন।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সিলেট কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) তপন বিকাশ তঞ্চঙ্গাঁ বলেন, সরকারের শ্রম আইন অনুযায়ী কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রমিকের নিরাপত্তা বিধান ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী ও কলকারখানা মালিকদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে শ্রমিকদেরকে যেরকম মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে, আমাদের দেশে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। শ্রমিকদেরকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হলে দেশে যেরকম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে সেরকম বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের সুনাম বাড়বে।

তিনি শ্রমিকের অধিকার রক্ষা ও শ্রম আইন বাস্তবায়নে সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় বক্তারা শুক্রবারে এলাকাভিত্তিক কিছু কিছু দোকান খোলা রাখা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজীকরণ, রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা ঘন ঘন চাকুরী পরিবর্তন করে বিধায় রেস্টুরেন্টগুলোর জন্য আইন-কানুন শিথিলকরণ, ছোট ছোট দোকানগুলোকে শ্রম আইন থেকে অব্যাহতি প্রদান, নতুন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রচারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদেরকে অবহিতকরণ, ব্যবসায়ীদের সাথে সম্মানজনক আচরণ করা, ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে আলোচনা ব্যতিরেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর মামলা না করাসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, সালেহীন এফ. নাহিয়ান, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মো. দিলওয়ার হোসেন, প্রতিষ্ঠান মালিক ছালেহ আহমদ চৌধুরী, খালেদ আহমদ, নিহার কুমার রায়, মো. সামছুল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, মো. সাহিদুর রহমান, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), প্রতিষ্ঠান মালিক তাহমিদুল হাসান জাবেদ, মো. নুরুজ্জামান সিদ্দিকী, হোসেন আহমদ, হাজী আব্দুল আহাদ, মো. নূরুল আলম, রতন তালুকদার, মো. শাহজাহান মিয়া, রাজু চৌধুরী, মো. শাহনুর নিয়াজী, ফয়ছল আহমেদ আলী, মো. নজরুল ইসলাম, অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম, শিউলি বিশ্বাস প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত