সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:০০

সিলেটে আসক’র বিভাগীয় সম্মেলন সম্পন্ন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন সিলেটের দশম বিভাগীয় সম্মেলনে সরকারের পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।

শুক্রবার শুক্রবার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে আসক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগ’র পরিচালক মো. রকিব আল মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সিলেটের বিভাগীয় সাংগঠনিক সুমন ইসলাম পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ মামুনুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর। সর্বস্তরের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ প্রণয়ন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে। সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ মানবাধিকার রক্ষায় দেশ ও দেশের বাইরে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ স¤প্রতি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সিলেটে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে সেখানেই দলমত নির্বিশেষে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, এতে করে মানুষের মানবাধিকারের আরও সুরক্ষিত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন।

বক্তারা বলেন, মানুষের জীবন, অধিকার, সমতা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ সুবিধাগুলিই মানবাধিকার। মানবাধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। অধিকারগুলি কেউ কখনো কারো কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে না। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। সেখানে মানুষের মৌলিক মানবাধিকারগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন আসক ফাউন্ডেশন মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান খন্দকার রানা।

সম্মেলনে ২০১৯ সালে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক, সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া সাড়া বছর জুড়ে যে সকল মানবাধিকার কর্মীরা সমাজে নিবেদিত হয়ে কাজ করে আসছিলেন তাদের বেস্ট পারফরম্যান্সের জন্য সংগঠনের কর্মীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এতে সিলেটের পায় ৪ শতাধিক মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত