রিপন দে, মৌলভীবাজার

৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:৩৩

মৌলভীবাজারে বয়স্কদের আড্ডাস্থল ‘প্রবীণাঙ্গণ’

মৌলভীবাজার শহরের পৌর জনমিলন কেন্দ্রে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়ন এবং ব্যক্তি পর্যায়ের অনুদান নিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আড্ডা ও বিনোদনের নানা উপকরণ দিয়ে সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘প্রবীণাঙ্গণ’ । জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আড্ডাস্থল ‘প্রবীণাঙ্গণ’ উদ্বোধন হবে আজ শনিবার। উদ্বোধন করবেন পরিকল্পনা এম এ মান্নান এমপি।

মৌলভীবাজার পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়ন এবং ব্যক্তি পর্যায়ের অনুদান থেকে এই স্থানটিকে এমনভাবে সাজানো হচ্ছে যাতে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা সকাল ও বিকেলে এখানে এসে ঘুরে, আড্ডা দিয়ে, বই পড়ে, খেলাধুলা করে সময় কাটাতে পারেন। স্থানটিকে দৃষ্টিনন্দন করতে লাগানো হচ্ছে বকুল, রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, টেকোমা. স্থলপদ্ম হাসনাহেনাসহ নানারকম মৌসুমি-স্থায়ী ও স্থানীয় জাতের ফুল।

পৌর জনমিলন কেন্দ্রের তিনটি কক্ষকে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। এই কক্ষের একটির মধ্যে থাকবে পাঠাগার। এতে সবধরনের বই থাকবে। থাকবে টেলিভিশন। একটি কক্ষ থাকবে বিশ্রামের জন্য। এতে দুটি শয্যা থাকবে। বয়স্ক নাগরিকরা হাঁটাচলা ও খেলাধুলা করে ক্লান্ত হলে এখানে বিশ্রাম নিবেন। বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের জন্য থাকবে একটি কক্ষ। এই কক্ষে নারীরা বিশ্রাম নিবেন, আড্ডা দিবেন। এর বাইরে তিনটি শেড স্থাপন করা হয়েছে। এতে বেঞ্চ থাকবে। যাতে ওখানে বসে আড্ডা দেওয়া যায়। এছাড়া মুক্ত স্থানে আছে বসার বেঞ্চ। যার যেখানে খুশি বসতে পারবেন, সময় কাটাতে পারবেন। থাকবে পত্রিকা পড়ার কর্নার। কফি-চা কর্নারও থাকবে।

প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা এবং বিকেল চারটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানটি উন্মুক্ত রাখা হবে। নতুন করে সাজানো অংশটি জনমিলন কেন্দ্রের মূল ভবন থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। যাতে জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানাদি হলেও এখানকার আড্ডায় কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়।

মৌলভীবাজার পৌর সভার মেয়র ফজলুর রহমান জানান, ‘এক সময় তাঁরা যৌবনের পুরোটা দিয়েছেন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে। তাঁদের পেছন ফিরে তাকানোর সময় ছিল না। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তাঁরা সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। আগে যেখানে তাঁদের হাতে একদণ্ড দাঁড়ানোর অবসর ছিল না, এখন তাঁদের হাতে অফুরন্ত অবসর। কিন্তু বয়সের ভার, বার্ধক্যজনিত রোগ-ব্যাধি, জরা তাঁদেরকে সীমিত পরিসরে আটকে রাখে। চাইলেই তাঁরা সবখানে যেতে পারেন না। কোথাও বসে নির্মল আড্ডা দিতে পারেন না। যদিও এই সময়টিতেই তাঁদের আরও বেশি নিকটজনের সঙ্গ ও সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা। এই সব ভাবনা থেকেই আমরা প্রবীণাঙ্গণ তৈরি করেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত