নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ২০:১০

আরিফের স্বাস্থ্য প্রতিবেদন : কারাগারে আদেশই পৌঁছলো ৪৮ ঘন্টা পর!

৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের বহিস্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত রোববার দুপুরে এ আদেশ দেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান। অথচ এই আদেশের কপি কারাগারে গিয়ে পৌছতেই লেগে গেছে প্রায় ৪৮ ঘন্টা। মঙ্গলবার আদেের কপি কারা কর্তৃপক্ষের হস্তগত হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ছগির আলী।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যায় অভিযুক্ত হয়ে হয়ে কারাবন্দি আছেন আরিফুল হক চৌধুরী। কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রোববার এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখে আরিফের চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মকবুল আহসান ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আরিফের স্বাস্থ্য প্রতিবেদন আদালতে প্রদান করতে কারা কর্তপক্ষকে আদেশ দেন।

মঙ্গলবার আদালতের এই আদেশ পাওয়ার কথা জানিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে আরিফুল হক চৌধুরীকে মেডিক্যাল চেকআপ করানো হবে। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। এরপর সে রিপোর্ট আদালতে প্রদান করা হবে।

রবিবার আলোচিত কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জগঠনের দিনে আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে এসেছিলেন এ্যাম্বুলেন্সে করে। এরপর হুইল চেয়ারে বসিয়ে তাকে এজলাসে তোলা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় আরো নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনায় তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ থেকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ৯ বার পেছানোর পর অবশেষে রবিবার অভিযুক্ত ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

ওইদিন আলোচিত এ হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় অভিযুক্ত সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র জিকে গউস, হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ মামলার অন্য আসামিদেরও আদালতে হাজির করা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ এ মামলার আরো ১০ আসামি এখনও পলাতক আছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত