সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৭:২৯

ধর্মপাশায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কৃষককে মারধরের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানসহ তার চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে এক কৃষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রাম সংলগ্ন জমিতে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন আহত কৃষক মো. সোহেল মিয়া। সোহেল মিয়া ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাটগাঁও গ্রাম গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ওই কৃষকের পৈত্রিক জমি রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে ওই জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমানের চাচাতো ভাই ও ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে আবুল মিয়া, দুলাল মিয়া, কুদ্দুস মিয়া কৃষক মো. সোহেল মিয়াকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে তার জমি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২১ ডিসেম্বর সকাল দশটার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন সোহেল মিয়ার জমিতে এসে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই জমিতে সোহেল মিয়া কৃষিকাজ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান ও তার চাচাতো ভাই কুদ্দুস মিয়া, রাশেদ মিয়াসহ আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত সোহেল মিয়াকে কৃষি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন। সোহেল মিয়া কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে চেয়ারম্যানসহ প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর চড়াও হন এবং তাকে মারধর করেন। এসময় কোনরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন সোহেল মিয়া। পরে তিনি দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এর আগে ওই কৃষক নিরাপত্তা চেয়ে ধর্মপাশায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

কৃষক সোহেল মিয়া জানান, 'আমি আমার  নিজের জমিতে কাজ করছিলাম। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান ও কুদ্দুস মিয়াসহ আরও কয়েকজন এসে কাজ করতে নিষেধ করে। নিষেধ না মানায় চেয়ারম্যান আমাকে জাপটে ধরে এবং অন্যরা মারপিট করে। পরে আমি কোনরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচি।'

অভিযুক্ত দুলাল মিয়া বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তবে আমার ভাই কুদ্দুস ও চাচাতো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিল। সোহেলকে কোন প্রকার মারধর করা হয়নি। সে আমাদের জমিতে কাজ করায় তাকে নিষেধ দেয়া হয়েছিল।'

পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত  ছিলাম 'সোহেলকে আমি ধরিনি, তাকে মারধরও করা হয়নি। আমার চাচাতো ভাইয়ের জমি সে (সোহেল) চাষ করায় তাকে নিষেধ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, 'এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষের লোকজনকে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সহ আগামী মঙ্গলবার আমার কার্যালয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত