নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:২৯

বালাগঞ্জে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষ

সিলেটের বালাগঞ্জে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শেষে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, শনিবার ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রলীগ ও বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বালাগঞ্জ বাজারে জমায়েত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মসুচির অংশ হিসেবে বেলা ২টার দিকে কেক কাটা পর্ব শেষে সেখান থেকে ফেরার পথে একজনের মোটর সাইকেল আরেক জনের গায়ে লাগাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর এক পক্ষের কয়েকজন বোয়ালজুড় বাজারে বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ সেখান গিয়ে অবরোধকারীদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় সেখান থেকে আরো একজনকে থানায় নেয়া হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনেদ মিয়ার ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল আহমদসহ তার পক্ষের নেতাকর্মী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রকিব জুয়েলসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার রাকিব বলেন, মারামারিকালে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার মোটর সাইকেলটি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে দায়ি করেছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রকিব জুয়েল বলেন, সহ-সভাপতির নেতৃত্বে সকাল ১১টায় কেক কাটার পর বিকেল তিনটায় আমরা বালাগঞ্জ অডিটরিয়ামে কেক কাটি। কেক কাটা শেষে সেখান থেকে বের হওয়ার সময় আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে আমাকে আহত করা হয়েছে। আমি বা পক্ষের কেউ কোনো গাড়ি ভাঙচুর করেনি। রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার কৌশল হিসেবে গাড়ি ভাঙচুরের কথা বলা হচ্ছে।

বালাগঞ্জ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক জনকে থানায় আনার পর বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের গ্রুপিং ও বিভক্তির বিষয়টি প্রকাশ্য রুপ নেয়। উপজেলা ছাত্রলীগের পদবিধারী ৫ জনের নেতৃত্বে পৃথকভাবে বালাগঞ্জ বাজার এলাকায় কেক কাটা, র‌্যালি ও আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বর্তমানে যারা যুবলীগ-আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে রয়েছেন, তাদেরকেও পৃথকভাবে পালিত কর্মসুচিতে অংশ নিতেও দেখা গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত