সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জানুয়ারি, ২০২০ ০১:১০

চার গুণীজনকে নিয়ে সিলেটে সুহৃদ আড্ডা

চার গুণীজনকে নিয়ে সিলেটে সুহৃদ আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় লেখক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক অপূর্ব শর্মার আয়োজনে সিলেট মদন মোহন কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে এ আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।

চার গুণীজন হলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ, কবি শামীম আজাদ, ড. সেলিম জাহান এবং অধ্যাপক রাশেদা নাসরীন। আর এ চার জনের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ বছরের বন্ধুত্ব। এজন্য আড্ডার বেশিরভাগ সময়জুড়েই ছিল শৈশব আর শিক্ষাজীবনের স্মৃতি। ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ, লেখক হিসেবে বেড়ে উঠার গল্প ও বর্তমান পরিস্থিতিও কিংবা পেশাজীবনের কথা।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অপূর্ব শর্মার পরিচালনায় সুহৃদ আড্ডার শুরু করেন কবি শামীম আজাদ। শুরুতেই শামীম আজাদ নিজের নাম নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার পারিবারিক নাম হচ্ছে শামীমা তরফদার। তো লেখালেখিতেও এই নাম ব্যবহার করতাম। এই নামেই বেশ কিছু লেখা প্রকাশও হয়েছে। এরপর যখন নাম হল শামীম আজাদ তখন আবার নতুন করে পরিচিত হতে হয়েছে। এরপর যখন নামটি পরিচিত হল তখন বিলেতে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। এরপর বলতে শুরু করেন শাবিপ্রবির ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জীবন, শিক্ষকতা আর ডীন কিংবা সামাজিক অনুষদের সভাপতি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। বলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অভিজ্ঞতার কথা। কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট, প্রশাসনিক জটিলতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানা অর্জন নিয়ে।

এসময় তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর পর সব কিছুতেই একটা পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের লেখালেখিতেও পরিবর্তন হয়েছে। হয়েছে মানুষের নামের পরিবর্তন।

এরপর সুহৃদ আড্ডায় রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে শুনান আয়েশা রুনা। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবে কিরে হায় গানটি গেয়ে শুনান। পরে এনায়েত হোসেন মানিকও শুনান জাগরণের একটি গান। মোহাম্মদ হোসেন পড়ে শোনান নিজের লেখা একটি কবিতা। এরপর নিজের অভিজ্ঞতা ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন ড. সেলিম জাহান এবং অধ্যাপক রাশেদা নাসরীন।

এসময় মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, শিশু একাডেমি সিলেটের সাবেক কর্মকর্তা মাহবুবুজ্জামান চৌধুরী, উদীচী সিলেটের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক, শাবির অতিরিক্ত রেজিস্টার সৈয়দ সলিম মুহাম্মদ শামীম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভানিটির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, বিজয়ফুলের সিলেট প্রতিনিধি ফরিদা নাসরীন, নাট্যকর্মী রাজীব দাশ, আয়েশা অরোরা, শাবির খণ্ডকালীন সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুনন্নেছা শাপলা, তার মেয়ে নাজিফা শামীম, সংস্কৃতি কর্মী আয়েশা মুন্নি, আবিদ ফায়সাল, সাংবাদিক ও আইনজীবী আবদুল মুকিত অপি, মিজান মুহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত