সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৪:০৫

বসন্তের সকালে ‘সাত সকালের আবৃত্তি’

ঋতুরাজ বসন্তের আগমন উপলক্ষে সিলেট নগরীতে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ আয়োজন করে  ‘সাত সকালের আবৃত্তি’।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে সকাল ৯ টায় আবৃত্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভবতোষ বর্মণ রানা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ।

শীত বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রিয় ঋতু এর পরই আসে ঋতুরাজ বসন্ত। অনেকের কাছে সবচেয়ে রূপসী ঋতু এবং ঋতুরাজ বসন্ত। এর মতো রূপসী ঋতু আর নেই। স্বচ্ছ সুন্দর নীল আকাশ, ঠাণ্ডা ঝিরঝিরে হাওয়া, সোনাঝরা মিষ্টি রোদ নিয়ে বসন্ত আমাদের জীবনকে রমণীয় করে। শীত শেষে বসন্ত আসে  নগরে, শহরে, ছোট-বড় বন্দরে-বাজারে-গঞ্জে; কিন্তু সবুজ গ্রামবাংলার প্রকৃতিজুড়ে যে বসন্ত নামে, তার চেয়ে রূপসী আর কেউ নয়।

বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সুকান্ত গুপ্ত'র পরিচালনায়  উদ্বোধনী আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সৈয়দ সাইমুম আনজুম ইভান । সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন - আধুনিককালে বাংলা ভাষায় আবৃত্তির নবতর প্রসারঘটে  বিশ শতকের গোড়ার দিকে। প্রাচীনকাল থেকে৷  পূর্ব ও পশ্চিম বঙ্গে আবৃত্তি বলতে যা বোঝাত তাহলো, পাঁচালী, পুঁথি, রুপকথা, আশীর্বচন ইত্যাদির সুরেলাপাঠ। আবৃত্তির মোড় ঘুরে যায় আধুনিক বাংলা কবিতার উন্মেষপর্বে। রবীন্দ্র কবিতার আবৃত্তি দিয়েই মূলত আধুনিক আবৃত্তি চর্চার শুভসূচনা হয়। আর শিশির কুমার ভাদুড়ি ছিলেন আধুনিক আবৃত্তির প্রথম পথিকৃৎ। আবৃত্তি: সর্ব শাস্ত্রাণাং বোধাদপি গরীয়সী। আবৃত্তি সব শাস্ত্রের বোধের চেয়ে ও গৌরবের। প্রয়োগ শিল্পের কনিষ্ঠতম হলেও আবৃত্তি সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত সর্বপ্রধান ও সর্বপ্রথম বাচিকশিল্প। সাত সকালের আবৃত্তি এই আয়োজন ভিন্নরকম এবং উৎকর্ষধর্মী আয়োজন যা অত্রাঞ্চলের আবৃত্তি চর্চায় সহযোগিতা করবে। এই সময়ে ভাল মানবিক সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে সৃজনশীল কাজের সাথে যুক্ত থাকা প্রয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যম তরুণ প্রজন্ম সৃজনশীল কাজের সাথে যুক্ত হলো।

আবৃত্তি আয়োজনে সমবেত পরিবেশনায় অংশ নেয় উর্বশী, মাভৈ, শ্রুতি-সিলেট, মৃত্তিকায় মহাকাল, কথন, মুক্তাক্ষর, তারুণ্য'র শিল্পীবৃন্দ।

একক পরিবেশনায় অংশ নেন অমিত ত্রিবেদী, শর্মিলা দেব পুরবী, আবুল হাসনাত স্বপন, নাজমুল হোসেন ইমন, আফরোজা আক্তার রুম্পা, দেবী সরকার, তামান্না প্রত্যাশা, অর্চিতা ভট্টাচার্য, ফারিহা তাহসিন প্রিমা, হিমেল মাহমুদ, প্রিয়শ্রী কর পিউ, ঐশ্বর্য কুণ্ডু শ্রেয়া প্রমুখ। একক পরিবেশনার মাধ্যমে আবৃত্তি শিল্পীবৃন্দ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত