জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ

১৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ২০:৫৭

ব্যাংকে ঢুকতে পারেন না বয়স্ক ভাতাভোগীরা

ব্যাংকের বাহিরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন শতাধিক বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ। বাহিরে বসার জায়গা না থাকায় প্রায় অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ বয়সের ভারে দাঁড়াতে না পেরে বারান্দায় বসে পড়েছেন। এ দৃশ্য উপজেলার পৌর শহরের অগ্রণী ব্যাংকের গোলাপগঞ্জ শাখার। তারা সবাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাংকে এসেছিলেন বয়স্ক ভাতা নিতে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার ব্যাংকে হাজির হয়েছিলেন বয়স্ক ভাতা নিতে। সারাদিন অপেক্ষা শেষে অনেকে বিকেলে ভাতা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সরকার ৩ মাস পর পর দেশের বয়স্কদের সম্মানসূচক বয়স্ক ভাতা দিলেও সরকারি ব্যাংকে এসে ভাতাভোগীরা প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাধারণ গ্রাহকদের সাথে যে ব্যবহার করে থাকে, তা করছেনা তাদের সাথে। ব্যাংকের ভেতরেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের; হচ্ছেন ভোগান্তির শিকার। বয়স্ক ভাতা নিতে আসা এসব ভাতাভোগীদের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই।

বাঘা ইউনিয়নের জালাল গ্রামের তজমুল আলী (৭৫) জানান, ‘শরীরটা খুব ভালো যাচ্ছেনা। তারপরও সুরমা নদী পার হয়ে বাঘা থেকে সকাল ১০টায় এসেছি। বিকেল ৩টা বেজে গেছে এখনো ভাতা পাইনি। কোথাও বসবো একটি চেয়ারও নেই।

একই ইউনিয়নের রস্তমপুর গ্রামের সুনাবা বিবি (৬৫) জানান, আমি সকাল থেকে না খেয়ে এখানে আছি। তারা ভিতরেও ঢুকতে দেয় না। বাহিরে বসারও কোন জায়গা নেই।

অগ্রণী ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক লোকমান আহমদ জানান, ব্যাংকে যেদিন বয়স্কভাতা থাকে সেদিন একসাথে ব্যাংকের অন্য কার্যক্রমও চালিয়ে যেতে হয়। বয়স্ক ভাতা যোগ হলে চাপটা অনেক বেড়ে যায়।

বয়স্কদের ব্যাংকের ভেতর ঢুকতে না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকের ভিতরে জায়গা অনেক কম, তাই ভিতরে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয়না। আগামীতে যেদিন বয়স্ক ভাতা দেওয়া হবে আমরা বসার জন্য বাহিরে ব্যবস্থা রাখবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত