নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ মার্চ, ২০২০ ১৪:২৭

সিলেটে মাস্কের বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। হাঁচি-কাশিতে ছড়ানো ছোঁয়াচে এ রোগটি থেকে সুরক্ষা পেতে দেশে মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে। ফলে বাজারে মাস্কের দামও বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় মাস্কের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিলেট নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে।

সোমবার (৯ মার্চ) সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় এ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে মাস্কের অতিরিক্ত মূল্য রাখার দায়ে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে পরিচালিত এক অভিযানে এসব জরিমানা আরোপ ও আদায় করে অধিদপ্তর।

এর আগে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই জনসাধরণের মাঝে ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসের আতংককে পুজি করে বেপোরোয়াভাবে মাস্কের দাম বাড়াতে থাকে ফার্মেসি ও সার্জারি পণ্য বিক্রিকারী ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবেই ভোক্তা অধিদপ্তরের টিম নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাস্কের মূল্য না বাড়ানোর বিষয়ে সতর্কতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। তবে সোমবার সকাল থেকে আবারও অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রি শুরু করে অসাদু ব্যবসায়ীরা। এরপর থেকেই ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ ও শ্যামল পুরকায়স্থের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান শুরু হয়।

অভিযান চলাকালে প্রতিটি মাস্কের মূল্য ৫০ থেকে ২০০ টাকা রাখার অপরাধে বন্দর বাজারের আল হেরা ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা, মেডিসিন কর্নার ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা, জিন্দাবাজারের ইদ্রিস মার্কেটের আদিল সায়েন্টিফিক স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, চৌহাট্টা পয়েন্টের ইউনিক ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা, সুবিদ বাজার এলাকার আল মক্কা ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা এবং ডেইলি শপকে আরো ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় ক্রন্তিকালীন সময়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে অধিদপ্তর। অভিযানে সার্বিক সহয়তায় ছিলেন উপ পরিদর্শক মোক্তারের নেতৃত্বে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি টিম ও জেলা ক্যাবের সদস্য। অভিযান চলাকালে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়।


অভিযান শেষে শ্যামল পুরকায়স্থ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যবসায়ীরা একেকটা মাস্ক ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। যা নিয়মিত মূল্যের থেকে ৫গুন বেশি। আমরা সিভিলে লোক পাঠানোর পর এর সত্যতা পেয়ে এ অভিযান চালাই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত