নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

০৪ এপ্রিল, ২০২০ ১০:১৭

নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন (বায়ে)

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তিন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সাংবাদিক মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ৬ নং আসামি অরবিট হসপিটালের ম্যানেজার খালেদ আহমেদ নামের এক হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরআগে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েও প্রধান আসামি মহিবুর রহমান হারুনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

উল্লেখ্য, আউশকান্দি ইউনিয়নে নিম্ন আয়ের মানুষদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান তাদের দেন ৫ কেজি করে। এ নিয়ে গত ৩০ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আসুন অসহায় দিনমজুরদের মনের কথা শুনি’ শিরোনামে এক লাইভে সাধারণ মানুষের বক্তব্যসহ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক সুলতান।

স্থানীয়রা বলেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার বিকেলে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহকারে আউশকান্দি বাজারে শাহ সুলতান আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন নিজেই ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সুলতানকে।

খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান ও চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় লোকজন শাহ সুলতানকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাংবাদিক মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিনাজপুর গ্রামে ঝটিকা অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রধান আসামি চেয়ারম্যান হারুন পালিয়ে গেলেও পরে অরবিট হসপিটালের ম্যানেজার, চাল চোর চক্রের অন্যতম সদস্য খালেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত