শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি

৩০ এপ্রিল, ২০২০ ১৩:২৫

বৃষ্টিতে ভেসে গেল সুতাং নদীর উপর নির্মিত বিকল্প সড়ক ও সেতু

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নদীর উপরের ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। গত ২-৩ বছর ধরে ব্রিজ দিয়ে কেবল মাত্র হালকা যানবাহন চলাচল করছে। পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য টেন্ডার আহবান করে উপজেলা প্রকৌশল অফিস। ঠিকাদার পুরাতন ব্রিজটি ভাঙার জন্য ওই ব্রিজের পাশেই বিকল্প সড়ক ও সেতু করে দেন।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে প্রবল বৃষ্টিতে বিকল্প সড়ক ও সেতুটি নদীতে তলিয়ে গেছে।

এই ব্রিজটি দিয়ে হাজারো মানুষসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করেন। বাজারের ভিতর দিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সুতাং ব্রিজ।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুতাং নদীর উপর দিয়ে সুতাং হয়ে বাছিরগঞ্জ বাজার তথা শায়েস্তাগঞ্জে যাওয়ার জন্য বাঁশ আর মাটি ফেলে একটি রাস্তা ও সেতু করে দেয়া হয়েছিল। সেটি বর্ষার আগেই তলিয়ে গেছে। এই রাস্তার উপর ভিত্তি করেই সুতাং নদীর মূল ব্রিজটি ভাঙার কাজ ক্রমশ এগিয়ে চলছিল।

বিকল্প একটি মজবুত রাস্তা নির্মাণ না করে দীর্ঘমেয়াদী এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু করা হলে এলাকাবাসীকে পোহাতে হবে হাজারো দুর্ভোগ। তাই এলাকার সচেতনমহল একটি মজবুত রাস্তা পুনরায় করে সুতাং নদীর ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, মুখলিছ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি এলজিইডির অধীনে রয়েছে। তিনি মজবুত করে সড়কটি নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

রাস্তাটি পুনরায় নির্মাণ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো মানুষ পুরাতন ব্রিজকেই ব্যবহার করছে। বর্তমান অবস্থায় কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। পরে আমরা চিন্তা করবো।

কিন্তু পুরাতন ব্রিজের ডানপাশের পিলারগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে, ব্রিজের মধ্যাংশে গর্ত করা হয়েছে এবং সেজন্য মানুষ চলাচল করতে পারে না বললে তিনি বলেন, এ বিষয়টি তো আমি জানি না।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত