জুড়ী প্রতিনিধি

৩০ এপ্রিল, ২০২০ ২০:৩৬

করোনা ঝুঁকিতে জুড়ীর মানুষ

মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়লেও কুলাউড়া-বড়লেখার মধ্যখানে অবস্থিত জুড়ীতে এখনও কোন রোগী ধরা পড়েনি। তবে এরই মধ্যে ৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলায় ২ পুলিশ সদস্য, একই পরিবারের ৩ জনসহ ৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং বড়লেখায় ২ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাই মধ্যখানে অবস্থিত জুড়ী উপজেলার মানুষদের মধ্যে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হবার ঝুঁকি রয়েছে।

জুড়ী উপজেলার মধ্যদিয়ে কুলাউড়া ও বড়লেখার যাতায়াত। লকডাউন হলেও জরুরী যানবাহন সহ কাঁচামালের জন্য যাতায়াত রয়েছে এসব উপজেলার মানুষের মধ্যে। তাছাড়া লকডাউনের মধ্যে ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসছেন জুড়ীতে। বিশেষ করে সিমেন্টের গাড়িগুলো আসে নারায়ণগঞ্জ থেকে যা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান এলাকাবাসী।

অন্যদিকে উপজেলার ফুলতলা বিটুলী চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি শুরু হয়েছে গত ২৯ এপ্রিল থেকে। দেশের বিভিন্ন জায়গার ট্রাক চেকপোস্টে এসে মালামাল পরিবহন করছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুব আলম রওশন জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা চালকরা জুড়ীর মানুষের সাথে অবাধে চলাফেরা করছেন। ভারতের মানুষের সংস্পর্শে ও আসতে হচ্ছে তাদেরকে। এ দিক দিয়ে জুড়ীতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে বেশি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ জানান, জুড়ী এখনও ভালো আছে, আশা করি ভালো থাকবে। এ পর্যন্ত ৪৯জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য সিলেটে পাঠিয়েছি, রিপোর্ট এখনো আসেনি। পজিটিভ হলে ১-২দিনের মধ্যে তারা রিপোর্ট দিয়ে দেয়। নেগেটিভ হলে রিপোর্ট আসতে প্রায় সপ্তাহ খানেক লাগে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলায় ৬ জন ও বড়লেখা উপজেলায় ২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও জুড়ীতে কোনো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কুলাউড়া ও বড়লেখায় করোনার অবস্থা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এ উপজেলা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত