তাহিরপুর প্রতিনিধি

১৬ মে, ২০২০ ২১:২৫

তাহিরপুর দু’পক্ষের সংর্ঘষে আহত ২৫

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে মলাই মিয়া ও আলী হোসেনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জনকে তাহিরপুর হাসপাতালে ও গুরুতর আহত কামাল মিয়া ও মাজেদা বেগমসহ ৩ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হামাসপাতালে রের্ফাড করা হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫), জামাল মিয়া(৫৫), কবির হোসেন(২৬), ফরিদ মিয়া (৩৮)সহ ৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৬ মে)দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ধরুন্দ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধরুন্দ গ্রামের পরশ আলীর ছেলে মলাই মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে পার্শ্ববর্তী কাঞ্চনপুর গ্রামের আলী হোসেন মধ্যে। এরই জের ধরে শনিবার সকালে মলাই মিয়ার কলেজ পড়ুয়া ছোট ভাই সালমান বাদাঘাট বাজারে আসার সময় ধরুন্দ গ্রামের সামনের রাস্তায় আলী হোসেন কমান্ডারের ছেলে কামাল হোসেন সালমানের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।

খবর পেয়ে মলাই মিয়া ও আলী হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এতে দু-পক্ষের ফরিদ মিয়া (৩৮), নাছির মিয়া (৩৫), আবু বক্কর (৪২), আলাল মিয়া (২৮),দুলাল মিয়া (৪০) জামাল মিয়া (৫৫), জহির মিয়া (৩৫), কবির হোসেন (২৬),মোশারফ মিয়া (৩৫),জসিম উদ্দিন (৩৫),আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫),তার ছেলে কামাল মিয়া (৩৫), মাজেদা বেগম (১৬),অহিনুর (২৫), আক্কাছ আলী (৩৫), আইনুল মিয়া (৩২)।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার এসআই দীপঙ্কর বিশ্বাস, এসআই মনিতোষ পাল, এসআই জহুর লাল দত্ত, এসআই মিজানুর রহমান, বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাস ও এএসআই নজরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত