০৫ মে, ২০২৩ ১২:০৭
বিপ্লবী স্বাধীনতাসংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্মদিন আজ। ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়ায় ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
মাস্টারদা সূর্য সেনের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তার বাবা জগবন্ধু ছিলেন চট্টগ্রাম পৌরসভার হেডক্লার্ক।
চট্টগ্রামের খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯২৯ সালে ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে ডিস্টিংশনসহ গ্র্যাজুয়েশন করেন প্রীতিলতা।
ইডেন কলেজের ছাত্রী থাকাকালে প্রীতিলতা লীলা নাগের নেতৃত্বাধীন দীপালি সংঘের অন্তর্ভুক্ত শ্রীসংঘের সদস্য এবং কলকাতার বেথুন কলেজের ছাত্রী থাকাকালে কল্যাণী দাসের নেতৃত্বাধীন ছাত্রী সংঘের সদস্য হন।
গ্র্যাজুয়েশন করার পর তিনি চট্টগ্রামের ‘নন্দনকানন অপর্ণাচরণ’ নামক একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। প্রীতিলতা এ সময় সূর্য সেনের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী দলের প্রথম মহিলা সদস্য হন। তিনি টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিস ধ্বংস এবং রিজার্ভ পুলিশ লাইনস দখল অভিযানে যুক্ত ছিলেন। তিনি জালালাবাদ যুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৩০ সালে প্রীতিলতা কলকাতার আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজবন্দি রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে যথাসময়ে তা পালন করেন।
১৯৩২ সালের ১৩ জুন ধলঘাট সংঘর্ষে কয়েকজন বিপ্লবী প্রাণ হারান। তবে মাস্টারদা ও প্রীতিলতা পালাতে সক্ষম হন। শিগগির পুলিশের জরুরি গ্রেপ্তারি তালিকায় প্রীতিলতার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। মাস্টারদা তাকে স্কুল ছেড়ে দিয়ে পুরুষ বিপ্লবীদের মতো আত্মগোপনে যাওয়ার নির্দেশ দেন। প্রীতিলতা অপর এক বিপ্লবী নারী কল্পনা দত্তসহ গোপন আস্তানায় চলে যান।
১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতা পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হলে তাৎক্ষণিকভাবে পটাশিয়াম সায়ানাইড পান করে মৃত্যুকে বরণ করে নেন।
আপনার মন্তব্য