ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

১৮ জুলাই, ২০১৬ ১১:০৬

ঝিনাইদহের মেসে নিবরাস, আবিরের থাকার তথ্য পুলিশের কাছে নেই!

ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ায় চার কক্ষের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে গুলশান হামলায় জড়িত জঙ্গি নিবরাস ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত জঙ্গি আবির রহমান যে অবস্থান করেছিলেন, সেটা বাড়ির মালিকের স্ত্রী, স্থানীয় লোকজনই শনাক্ত করেছেন। তাদের শনাক্তের ভিত্তিতে একাধীক গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয় তবে এসব তথ্য পুলিশের কাছে নেই বলে দাবি করেছন ঝিনাদহের পু্লিশ সুপার আলতাফ হোসেন।

রোববার (১৭ জুলাই) রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলতাফ বলেন, "ঝিনাইদহে কোন জঙ্গি আস্তানা নেই"।

পুলিশ সুপার বলেন, শিয়া মতাবলম্বী হোমিও চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক ও মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে হত্যায় জড়িত দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় শিবিরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সেক্রেটারি সবুজ খান (২১) ও শ্যামানন্দ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শিবিরের ঝিনাইদহ শহর দক্ষিণাঞ্চলের সাবেক সভাপতি শাহীন আলম (২২) গতকাল রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শাহীনের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে আর সবুজ খানের বাড়ি সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে।


পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন বলেন, পুলিশ অনুসন্ধান করে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে আবদুর রাজ্জাক হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর থেকে সবুজ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবুজ খান আদালতে দোষ স্বীকার করে বলেছেন, শিবিরের কেন্দ্রের নির্দেশে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। এতে তাঁরা বেশ কয়েকজন জড়িত।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, শিবিরের নেতা শাহীন আলম জবানবন্দিতে বলেছেন, শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ১ জুলাই তাঁরা সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে হত্যা করেছেন। তাঁরা একটি মোটরসাইকেলে করে শহর থেকে গিয়ে ওই খুনটি করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত