সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৫:৫৫

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাংসদ রানার জামিন নাকচ

মুক্তিযোদ্ধা ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিনের আবেদন এ আদেশ দেন।

এর আগে এ মামলায় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

এ ছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আরো দুই আসামি সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ ও যুবলীগ কর্মী নুরু আদালতে আত্মসমর্পণ পর জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবেদন নাকচ করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যার অভিযোগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

পরে গত ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইলের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান আসামিপক্ষের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন—আনিসুল ইসলাম রাজা, কবির হোসেন, সাবেক কমিশনার মাসুদ মিয়া, চাঁন, নুরু, সানোয়ার হোসেন, বাবু, ফরিদ হোসেন, আবদুল হক ও সমির হোসেন।

মামলার অপর আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও সমির হোসেন আগেই গ্রেপ্তার হয়ে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন। আরেক আসামি ফরিদ হোসেন কিছুদিন আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। এ ছাড়া আরেক আসামি আবদুল হক পলাতক অবস্থায় কয়েক মাস আগে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ জানান, ২০১৪ সালের ১১ আগস্ট শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলায় প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় আনিসুল ইসলাম রাজাকে। একই অভিযোগে মোহাম্মদ আলী নামের আরেকজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গত ২৪ আগস্ট গ্রেপ্তার করে। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুক আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত