জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ

২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ২২:২৮

ঝিনাইদহে মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সিসি ক্যামেরার আওতায়

ফাইল ছবি

জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঝিনাইদহকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে অন্য উপজেলাগুলোতেও। বাদ পড়েনি মন্দির-গির্জাও।

এ বছর ঝিনাইদহ জেলায় ৪ জন টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে একজন মন্দিরের পুরোহিত ও একজন সেবায়েত হত্যার পর মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিষয়টি বিবেচনায় এনে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ব্যবসায়ী, মন্দির, গির্জা কমিটি, ব্যাংক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মালিকদের সিসি ক্যামেরা বসাতে উদ্বুদ্ধ করে।

পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ১০০টির বেশি ক্যামেরা। বাকি ৫ উপজেলাতেও চলছে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ।

ঝিনাইদহ শহর, কালীগঞ্জের কয়েকটি মন্দির, গির্জায় বসানো হয়েছে ক্যামেরা। শহরের কালীগঞ্জ কালী মন্দিরের পুরোহিত বলেন, "গত কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটার পর থেকে আমরা মন্দিরের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে পূজা-অর্চনা করতাম। এখন মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।"

কালীগঞ্জের কলেজপাড়া এজি চার্চের পাদ্রী রেভারেন্ট জন তালুকদার বলেন, "সিসি ক্যামেরা লাগানোর আগে এখানে কিছু সন্দেহভাজন লোক আসা-যাওয়া করতো। সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর থেকে তারা আর আসে না। নির্ভয়ে উপাসনা করতে পারছি।"

ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, "সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা বেড়েছে। অপরাধ সংগঠিত হলেও তাদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।"

ঝিনাইদহ শহরের বিলাস বহুল আবাসিক হোটেল রেডিয়েশনের চেয়ারম্যান এম এ জলিল বলেন, "আমি হোটেল ব্যবসা করছি। দেশ ও বিদেশ থেকে নানা ধরণের গেস্ট আমাদের হোটেলে অবস্থান করেন। শহরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ব্যবসায়ে নিরাপত্তা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে স্বস্তি।"

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, "জেলার নিরাপত্তা জোরদার ও জেলা থেকে অপরাধ কমিয়ে আনার জন্য এ কার্যক্রম সুফল বয়ে আনবে। ইতোমধ্যে আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১শ’ টিরও বেশি ক্যামেরা লাগিয়েছি" 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত