সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জুন, ২০১৭ ১৭:০৩

লংগদুর ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক’, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠিত

‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক’ হয়ে আসায় রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন।

এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লংগদুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় সেখানকার ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনায় একজন সেনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আবু তৈয়ব ও তিনটিলা পাড়ার কারবারি সুচিত্র কারবারি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এক বাঙালি যুবলীগ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে শুক্রবার। লংগদু এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি ছিল।

এর আগে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ দুপুর পর্যন্ত অন্তত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন সাইফুল, শাহ আলম, মো. শহীদ, আবুল কালাম, শরিফুল, শরিফ ও মো. মোস্তফা।

শনিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদরের চারমাইল এলাকায় রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন সকালে মোটরসাইকেলে দুজন যাত্রী নিয়ে তিনি লংগদু থেকে খাগড়াছড়ি যাচ্ছিলেন। বাঙালিদের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে পাহাড়ি কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত।

ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলা সদরের চারটি গ্রামের অন্তত ২০০ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা এ ঘটনার জন্য বাঙালিদের দায়ী করেছেন।

তিনটিলা গ্রামটি প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বলছেন, গ্রামটির ৮৬টি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। তারা বেশ কিছুটা দূরে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ রাতেই জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত