সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ এপ্রিল, ২০১৮ ২২:৪২

মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দু ধর্মের অংশ: চরমোনাই পীর

মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইপীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা সাম্প্রদায়িক। মঙ্গল শোভাযাত্রা কোনোক্রমেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত নয়।

রোববার (৮ এপ্রিল) বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাইপীর।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে শিরক বা মহান আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ধারণা জড়িত। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা সার্বজনীন নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবও নয়।

বাঙালি সংস্কৃতির সর্বজনীনতার তত্ত্বের আড়ালে এসব বিধর্মীয় মূর্তির শোভাযাত্রা অনুশীলনের জন্যে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতাকে বাধ্য করার উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই আমির।

তিনি বলেন, অমুসলিমদের প্রতীক ও উপমা ব্যবহার করা ইসলামে নিষিদ্ধ। মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ। মূলত দেব-দেবীকে উদ্দেশ করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। তারা বিভিন্ন প্রতীকের মাধ্যমে পূজা প্রার্থনা করেন।

ইসলামে এটা হারাম উল্লেখ করে চরমোনাইপীর বলেন, মুসলমানের সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শনভিত্তিক মূল্যবোধ। স্থানীয় ও লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান মুসলিম সংস্কৃতিতেও আছে। কিন্তু এর অবস্থান ইসলামী ঐতিহ্যের সীমানা অতিক্রম করে নয়। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারও কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

প্রসঙ্গত, বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে আসছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর অধরা বা ইনট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শান্তি, গণতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতিসত্তার ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত এই ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত