রাজশাহী প্রতিনিধি

২২ এপ্রিল, ২০১৮ ১৫:৪৫

আদিবাসী নির্যাতনের বিচারের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন-সমাবেশ

জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলা কমিটি উদ্যোগে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর  সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের আদিবাসী বাঙালিদের উপর বর্বর হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর, হত্যা, নির্যাতনের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রোববার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।   

মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়। বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, দপ্তর সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক শুসেন কুমার স্যামদুয়ার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি কল্পনা রায়, জনউদ্দোগ রাজশাহী ফেলো জুলফিকার আহম্মেদ গোলাম, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি নকুল পাহান প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে আদিবাসীদের উপর হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর, নির্যাতন, ধর্ষণ বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বরের পর থেকে আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠী বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-এর রিকুইজিশন করা ১হাজার ৮শত ৪২.৩০ একর সম্পত্তি আদিবাসী বাঙালিদের ফেরত দিতে হবে। আদিবাসী বাঙালিদের সম্পত্তি সরকার বা কর্তৃপক্ষের রিকুইজিশন করার এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় এ ধরণের কার্য বাতিল ও পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করে আদিবাসীদের সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে।  

সমাবেশে বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, আদিবাসী সাঁওতালপল্লিতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং গুলি করে শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নিহত ও গুরুতর আহত করার সাথে জড়িত উস্কানীদাতা ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিহত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী-বাঙালিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আদিবাসী-বাঙালি নারী-পুরুষের উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের জুলুম ও পুলিশী হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আদিবাসী সাঁওতালদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগকারী চিহ্নিত পুলিশ কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত