০২ মার্চ, ২০২০ ১৩:০৬
কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন এবং বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম জানা যায়নি।
রোববার (১ মার্চ) রাত ২টা থেকে সোমবার (২ মার্চ) ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির–সংলগ্ন জাদিমোড়া-মোছনির পাহাড়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। ৭০ থেকে ৮০টি গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। র্যাব এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, সাতটি ওয়ান শুটারগান ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ এর দাবি, রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির–সংলগ্ন জাদিমোড়া-মোছনির গভীর পাহাড়ে জকির আহমেদের নেতৃত্বে ডাকাত দল অবস্থান করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে রোববার (১ মার্চ) রাতে র্যাব অভিযানে যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাব-১৫এর টেকনাফ ক্যাম্পের কর্মকর্তা লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তারও পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিজিবির সদস্যরা দেড় লাখ ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করেন। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আপনার মন্তব্য