বেনাপোল প্রতিনিধি

০৭ মার্চ, ২০২০ ১৯:৪৯

বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণ ট্যাক্সের রসিদ সংকট

যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণে যাওয়া যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। ভারত ভ্রমণে যাওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোস্টে সোনালী ব্যাংকের বুথে ভ্রমণ ট্যাক্সের কোন রসিদ নেই। যাত্রীদেরকে দেওয়া হচ্ছে একটি করে ট্রেজারি চালান। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।

শনিবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে এ সংক্রান্ত একটি জরুরী নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের সোনালী ব্যাংক বুথ শাখায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভারত ভ্রমণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রত্যেক যাত্রীকে সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে একটি করে ট্রেজারি চালান কপি দেয়া হচ্ছে। সেই যাত্রীকে আবার সেই একটি করে ট্রেজারি চালান কপি থেকে ৩টি ফটোকপি করে নিতে হচ্ছে। অনেক যাত্রী চালান কপি লিখতেও পারছে না।

অন্যদিকে, সোনালী ব্যাংকের বুথে যে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে কোন কোড নম্বরও দেওয়া নেই। যে নম্বরে যাত্রীরা অনলাইনে টাকা জমা দেয়া যাবে, এমন কোন দিক নির্দেশনাও নেই। আর যে নোটিশটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাঙ্গিয়ে দিয়েছে তার নিচেও কর্তৃপক্ষের কোন স্বাক্ষর নেই। সেজন্য অনেক যাত্রী বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন, আমরা মহিলা মানুষ। ভারত ভ্রমণে যাচ্ছি। আমাদেরকে একটি করে ট্রেজারি চালান ধরিয়ে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কিছু বুঝতেছি না। আবার একটি করে ট্রেজারি চালান দেওয়া হয়েছে সেটি আবার ফটোকপি করে নিতে হচ্ছে। কোথা থেকে ফটোকপি করবো আর কোথা থেকেই বা চালান লিখে নেবো তাও জানি না। এ সংক্রান্ত কোন নোটিশও আগে থেকে জারি করা হয়নি। এমন আন্তর্জাতিক বন্দরে এ ধরনের সমস্যায় খুব বিব্রতরকর অবস্থায় পড়লাম।

স্থানীয় বাসিন্দা নাহিদ হাসান শুভ জানান, সকাল থেকেই দেখছি যাত্রীরা চরম হতাশা নিয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে। এর আগে বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণ ট্যাক্স সংক্রান্ত এ ধরনের কোন জটিলতা আমাদের চোখে পড়েনি। এমন বন্দরে এ ধরনের সমস্যা খুবই হতাশাজনক। যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। সেখানে আগে থাকতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম এ বন্দরের সুনাম নষ্ট ছাড়া কিছুই না।

এ ব্যাপারে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার রকিবুল হাসান জানান, রসিদ বই সংকটের কথা দুই মাস আগে রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। অনেক যাত্রী আছে তারা অনলাইন বুঝে না, তারা টাকা কিভাবে জমা করবে? এভাবে যাত্রী হয়রানির কারণে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত