বেনাপোল প্রতিনিধি

২৩ মার্চ, ২০২০ ২০:০০

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ লকডাউন: বেনাপোল বন্দরে ২৭ মার্চ পর্যন্ত আমদানি রফতানি-বন্ধ

করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ভারত সরকারের লকডাউন ঘোষনায় দেশের বৃহত্তম বন্দর বেনাপোলে সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সব ধরণের পণ্যের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বন্দরে অচলবস্থা নেমে এসেছে।

সোমবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব ধরণের পণ্যের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। তবে এ পথে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস ও দুই দেশের মধ্যে স্বল্প পরিসরে এখনও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল করছে।

পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন,‘করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাঁচ দিনের জন্য সকল রকম আমদানি-রফতানিসহ সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ রাখা হবে। ২৭ মার্চের পর পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রোববার সকাল থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনের জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার সুপার নাশিদুল হক বলেন, সোমবার সকাল থেকে বন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরের পণ্য উঠানামা ও খালাস প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, যারা ভারতে গিয়েছিলেন এবং যারা বাংলাদেশে এসেছিলেন তারাই কেবল ঘরে ফিরছেন। দুই দেশের সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারীতে নতুন করে সাধারণ যাত্রীদের দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক(ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস সচল রয়েছে।

এদিকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হঠাৎ বন্ধ হয়ে পড়ায় দুই পারের বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় সহস্রধীক পণ্য বোঝায় ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে ওষুধ ও শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, খাদ্য দ্রব্য ও পাটজাত পণ্য রয়েছে। প্রতিবছর এ বন্দরের আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। আর পাসপোর্ট যাত্রীর ভ্রমন কর বাবদ আয় হয় প্রায় শত কোটি টাকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত