আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ আগস্ট, ২০২০ ২০:১৮

ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করেছে রাশিয়া

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গত ১১ আগস্ট করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছিল রাশিয়া। এবার করোনা ভ্যাকসিনের আনুষ্ঠানিক উৎপাদন শুরু করেছে দেশটি। সফলতার কথা প্রকাশ হতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকার চাহিদা পেতে শুরু করেছে রাশিয়া। এরই মধ্যে ২০টি দেশ থেকে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার পেয়েছে দেশটি

রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শনিবার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, রাশিয়া কোভিড-১৯-এর নতুন ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ উৎপাদন শুরু করেছে।

রাশিয়া বলেছে যে, মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনাভাইরাস টিকার উৎপাদন শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই টিকা চালু হয়ে যাবে। তবে কিছু বিজ্ঞানী আশঙ্কা করছেন, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মস্কো ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হয়তো সক্ষম হয়নি।

গত মঙ্গলবার রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এটি মানবদেহের ওপর নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমে এই ভ্যাকসিন আমার মেয়ের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।

তবে রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের দাবি, খুব তাড়াহুড়ো করে এই গবেষণাটি সম্পাদন করা হয়েছে। মানবদেহে এর প্রভাব পর্যালোচনা না করেই অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন স্পাহনের দাবি, সঠিকভাবে টেস্ট করা হয়নি এই ভ্যাকসিন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোকেও যাচাই করা হয়নি। অনেকের মৃত্যুও হতে পারে এ কারণে।

একই মতামত দিয়ে ফ্রান্সের গবেষক ইসাবেল ইমবার্ট বলেন, এই গবেষণার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল এখন পর্যন্ত আমরা জানি না। এই ভ্যাকসিন কতটুকু নিরাপদ তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট কার্যালয় হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফাউচি তো এই গবেষণার তথ্য নিয়ে সন্দেহই প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আশা করছি রাশিয়া সফলভাবেই করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন বানিয়েছে। যা নিরাপদ ও কার্যকর। কিন্তু আমার এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

তবে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাসকো এসব সংশয়ের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তাঁদের এসব দাবি ভিত্তিহীন। আমাদের ভ্যাকসিন গবেষণা সফল এবং তা মানবদেহে নিরাপদ।

সূত্র : ইকোনমিক টাইমস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত