আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:০৪

নতুন উদ্ভাবিত যন্ত্রে করোনা পরীক্ষার ফল মিলবে ৯০ মিনিটে

বিশেষ কোনো ল্যাবরেটরি ছাড়াই ৯০ মিনিটের মধ্যে নির্ভুলভাবে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম একটি র‌্যাপিড টেস্ট পদ্ধতি উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। দ্রুত রোগী শনাক্তে এখনই দেশটির আটটি হাসপাতালে নতুন এ ‘ল্যাব-অন-এ-চিপ’ যন্ত্র ব্যবহৃতও হচ্ছে। খবর : বিবিসি

ডিএনএনাজ নামের একটি সংস্থা এই যন্ত্রটি তৈরি করছে। তারা বলছে, কেউ যদি গলা বা নাকের ভেতর থেকে সোয়াব বা নমুনা নিতে পারে, তাহলেই সে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবে। একটি নীল রঙের কার্টিজ বা আধারের মধ্যে সোয়াবটি রাখতে হবে, যার ভেতর পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক আছে। আধারটি এরপর জুতার বাক্সের আকারের ছোট একটি যন্ত্রের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে যন্ত্র ওই নমুনা বিশ্লেষণ করবে। ওই আধার একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে।

এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট মাইক্রোবে। সেখানে বলা হয়েছে, ৩৮৬ জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা ডিএনএনাজ কোম্পানির যন্ত্র দিয়ে এবং পাশাপাশি প্রচলিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দুটি পরীক্ষার ফল তুলনা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক গ্রেয়াম কুক বলেছেন, দুটি পরীক্ষার ফল দেখা গেছে একই রকম, যা খুবই আশ্বস্ত হওয়ার মতো। বিশেষ করে যখন একটি নতুন প্রযুক্তি আপনি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন তখন ফলাফলে তারতম্য না থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে, হয়তো সেটা দ্রুত করা যাচ্ছে, কিন্তু ফলাফল নির্ভরযোগ্য নয়। আবার কোনোটায় ফল নির্ভুল, কিন্তু সময় লাগছে, তবে এ ক্ষেত্রে দুটিই সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।

ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় যেখানে বলা হচ্ছে রোগীর ভাইরাস নেই, এই যন্ত্রের পরীক্ষায়ও সেই ফলই এসেছে। ল্যাব পরীক্ষা যেখানে বলছে, রোগীর ভাইরাস আছে, দ্রুত সময়ের এই পরীক্ষা ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রে একই ফল দিয়েছে। তবে সমস্যা একটা আছে, সেটি হলো একটি বাক্স-যন্ত্র দিয়ে একবারে শুধু একটি নমুনাই পরীক্ষা করা সম্ভব। কাজেই কোনো প্রতিষ্ঠান যদি একটি বাক্স ব্যবহার করে তাহলে সারা দিনে প্রায় ১৬টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না।

অধ্যাপক কুক বলছেন, ‘যেসব ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত জানা প্রয়োজন কেউ সংক্রমিত কি না এবং একটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেখানে জরুরি, সেখানে এই যন্ত্র খুবই উপযোগী হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত