সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুন, ২০২১ ১০:৫৬

রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ১৬ রোগীর মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে একদিনে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ১০টা থেকে শুক্রবার (৪ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে তারা মারা যান। তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। বাকি ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নিয়ে।

এখন পর্যন্ত হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত ২৪ মে ১০ জন, ২৫ মে ৪ জন, ২৬ মে ৪ জন, ২৭ মে ৪ জন, ২৮ মে ৯ জন, ৩০ মে সর্বোচ্চ ১২ জন, ৩১ মে ৪ জন, ১ জুন ৭ জন, ২ জুন ৭ জন এবং ৩ জুন ৯ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ মে দুপুর থেকে ৩ জুন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় মারা গেছেন ৪৬ জন। অন্যরা মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। গত ৩০ মে সর্বোচ্চ ১২ জন মারা গেছেন রামেক হাসপাতালে।

রামেক হাসপাতালেল উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও করোনা ইউনিটে ১৬ জন মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। বাকি ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নিয়ে। ৯ জনই করোনার নতুন হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া রাজশাহীর ৬ জন ও নওগাঁর একজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন ৫ জন। এ ছাড়া ২৫ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে করে মারা গেছেন। ২২ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উপপরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে এসেছেন ৩২ জন। এর মধ্যে ১৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ১৩ জন রাজশাহীর, ৩ জন পাবনার এবং নাটোরের একজন। এ পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ২২৫ জন। আইসিইউতে রয়েছেন ১৬ জন।

প্রসঙ্গত, সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় হঠাৎ করেই কিছুদিন থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। রাজশাহীর পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে এই সংক্রমণ হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন গত ২৫ মে থেকে জেলাটিতে লকডাউন ঘোষণা করে। প্রথম সপ্তাহের লকডাউন শেষে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আবার বাড়ানো হয় লকডাউন। নতুন করে এক সপ্তাহ বাড়িয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন দেয়া হয় ৭ জুন পর্যন্ত।

পাশের জেলা নওগাঁতেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে এই সময়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন নিয়ামতপুর ও নওগাঁ সদর উপজেলায় সাত দিনের লকডাউন দেয় বুধবার রাত থেকে।

সংক্রমণ রাজশাহীতেও বেড়েছে গত কয়েক দিনে। সেখানেও সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশের আশপাশে। এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত