দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডের খুব কাছে।

দেশে করোনা সংক্রমণ ধরার পর এক দিনের হিসাবে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল। সেদিন ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর ২৪ ঘণ্টায় ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছিল ২৫ এপ্রিল।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৫ হাজার ৮৬৯ জনের শরীরে। দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৬ জনের।

২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫৫৪ ল্যাবে ২৭ হাজার ৬৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ২১ দশমিক ২২ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

করোনা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৭৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৯ জন। সুস্থতার হার ৯১.৭৬ শতাংশ।

গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৫, নারী ৩৩ জন। তাদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। অন্যদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ২, ত্রিশোর্ধ্ব ৭, চল্লিশোর্ধ্ব ১৫, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৫ ও ষাটোর্ধ্ব ৫৮ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপরই রয়েছে ঢাকা বিভাগ, ২৫ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩, রাজশাহী বিভাগে ১৬, রংপুর বিভাগে ১০, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪, সিলেট বিভাগে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।