
০১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০১
দেশে তৃতীয় দফায় গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে এই গণটিকা কার্যক্রম শুরু করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলবে মাসব্যাপী। গণটিকায় পুরো মাসে ৩ কোটি ৩২ লাখ টিকা দেওয়া হবে।
সারা দেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) টিকাকেন্দ্রের পাশাপাশি গ্রামের ঘরে ঘরে করোনার টিকা নিয়ে যাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশে ইপিআইয়ের নিয়মিত টিকাকেন্দ্র আছে ১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে মহানগরগুলোর ১০ হাজার ইপিআই কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হবে না। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার কেন্দ্রে ইপিআইয়ের কর্মীরা করোনার টিকা প্রয়োগ করবেন।
প্রতিটি ইউনিয়নে ২৪ থেকে ২৭টি নিয়মিত ইপিআই কেন্দ্র আছে। প্রতিটি কেন্দ্রের আশপাশের ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষকে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও করোনা টিকা বিতরণ এবং ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে এই গণটিকার পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, এর আগে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত টিকা দিয়েছি। এবার আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের আরও ভেতরে একেবারে ওয়ার্ড পর্যন্ত চলে যাব। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হবে। ১৮ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী সব মানুষ এই গণটিকায় টিকা পাবেন। জানুয়ারি জুড়ে এই গণটিকায় প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। পরের মাসে একইভাবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এ টিকা দিতে কোনো নিবন্ধন লাগবে না। নিবন্ধন থাকলেও চলবে, না থাকলে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়া হবে। আমরা তাদের নাম-ঠিকানা, বয়স, পেশা সব লিখে নেব। তারপর সুরক্ষা অ্যাপে নিজেরাই নিবন্ধন করব। আর সে যদি তার এনআইডি ফটোকপি করে নিয়ে আসে, সেটার পেছনে লিখে দেব।
আপনার মন্তব্য