মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে এক হাজার ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮২৬ জন।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।

এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৩ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৭ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইতালি ও রাশিয়া।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৩১ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৬৪ লাখ ১৮ হাজার ৭২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৮৭ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ২৮৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯২ হাজার ২৩ জন মারা গেছেন।

এ ছাড়া রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৯২ জন। তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬২৮ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৫৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৪৮২ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০২ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৬১০ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৭০৩ জন এবং মারা গেছেন ৮১ জন। হাঙ্গেরিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৪৭ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরে ভাইরাসটি। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।