নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ নভেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৬

সংলাপের ‘প্রস্তুতি ছিল না’ গয়েশ্বরের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে প্রতিনিধি দলের তালিকায় নাম থাকলেও যোগ দেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এনিয়ে নানা আলোচনার পর অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। বললেন, শেষ মুহূর্তে তাকে জানানোর কারণে প্রস্তুতি ছিল না তার, তাই সংলাপে অংশ নেননি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংলাপ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন; অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ কামাল হোসেনের প্রতিনিধি দলে ২১ জনের থাকার কথা ছিল। সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় যে পাঁচজনের নামের তালিকা দেওয়া হয়, তাতে গয়েশ্বরের নাম ছিল। সব মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ২১ নেতা সংলাপে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

সংলাপে না যাওয়ার প্রসঙ্গে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে গয়েশ্বর জানান, প্রথমত আমি সংলাপে যাওয়ার তালিকায় নির্ধারিত ছিলাম না। যেহেতু অবগত ছিলাম না যে, আমাকে যেতে হবে। সংলাপের যে প্রস্তুতি থাকে তা আমার ছিল না।

তিনি বলেন, যাওয়ার পথে হঠাৎ করে বলল যে, আপনার নাম আছে। কিন্তু আমি তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়ে সংলাপে অংশ নেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপে অংশ নিতে প্রথম ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে সংলাপের দিন বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫ সদস্যের নাম প্রকাশ করে ঐক্যফ্রন্ট। নতুন তালিকায় গয়েশ্বর ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহের নাম ছিল। সংলাপে অন্য চারজন অংশ নিয়েছেন।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সংলাপে ১৪ দলীয় জোট থেকে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্যরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত