সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫৫

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ জোট শরিকদের

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে ১৪ দলীয় জোটের দুই শরিক জাতীয় পার্টি (জেপি) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনএফ)।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম ও বিএনএফের সাংসদ এবং সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এ অভিযোগ করেন।

দলের কয়েকজন প্রার্থীর প্রচারে বাধা ও হামলার অভিযোগ তুলে শহীদুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাদের দলের প্রার্থীর গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে প্রার্থীসহ ৫ থেকে ৬ জন আহত হন। ওই নির্বাচনী এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রচার চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া ঢাকা-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরীর ওপর যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হামলা করেছে সেই একই প্রতিপক্ষ আমাদের প্রার্থীর ওপরও হামলা করেছে। আমরা এসব বিষয়ে সচিবের কাছে প্রতিকার চেয়েছি।

আপনাদের প্রার্থীর ওপর কারা হামলা করেছে জানতে চাইলে শহীদুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রামে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই এই হামলা চালিয়েছে। আর ঢাকা-৬ আসনে আমাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে লাঙল।

তিনি জানান, এসব হামলার বিষয়ে তারা শরিক দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।

এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (প্রতীক লাঙল) বর্তমান সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। তফসিল ঘোষণার পর এই প্রথম শরিক কোনো দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানো হলো।

শহীদুল ইসলাম বলেন, জোটের মধ্যে যেসব আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে প্রচারণায় খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। তবে, উন্মুক্ত আসনগুলোতেই এই হামলার ঘটনা ঘটছে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে জেপির মহাসচিব বলেন, এবারের সংসদ নির্বাচনটি দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এজন্য এই নির্বাচন এই সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুষ্ঠিত করতে পারলে ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না।

বর্তমান সংসদের এমপি ও বিএনএফের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বাধীন দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বর্তমান কমিশন সরকার দ্বারা প্রভাবিত এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সরকারি দলের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনএফ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা দেশে তাদের ৫৫ জন প্রার্থী রয়েছে। তারা সকলেই হুমকির মুখে রয়েছে। তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে।

প্রথমে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগ উভয় দলের পক্ষ থেকে হামলার শিকার হওয়ার কথা জানালেও পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের প্রার্থীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন। আর সরকারি দলের দ্বারাই তারা এই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের দ্বারা প্রভাবিত বলেও তিনি এ সময় দাবি করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত