সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২৩ এপ্রিল, ২০১৬ ১০:২০

‘শফিক রেহমানকে যুক্তরাষ্ট্রে আজীবন কারাবাস করতে হবে’

‘গুপ্তচরবৃত্তির’ জন্য শফিক রেহমানকে ‘যুক্তরাষ্ট্রে আজীবন কারাবাস করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এছাড়াও তিনি এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল দাবি করে বলেছেন, তথ্য সংগ্রহে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রেও তার বিচার হতে পারে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের।

ফেসবুক পোস্টে জয় বলেছেন, “বিএনপি এবং আমাদের ‘সুশীল সমাজ’ এর একটি অংশ শফিক রেহমানের সাফাই গাইতে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই, আমি এ বিষয়ে কিছু নিরেট বাস্তবতা তুলে ধরছি:

“যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, অভিযুক্ত এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক টেক্সট ম্যাসেজে লিখেছে যে রিজভী আহমেদ সিজার আমাকে ‘অফ’ করতে চায়। মেরে ফেলার অর্থে স্ল্যাং হিসেবে আমেরিকায় এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়। তাই, আহমেদ তার ষড়যন্ত্রের সহযোগীকে বলেছে, সে আমাকে হত্যা করতে চায়, আর সেটা সে গ্রেপ্তার হওয়ার অনেক আগেই।”

গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে জেরার দায়িত্বে থাকা এজেন্টদেরও সে একই কথা জানিয়েছে- একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীপুত্রের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, “ট্রায়ালের মাধ্যমে আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। সে অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে দোষী বলে নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যা গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা মামলা হেরে যাওয়া ও দীর্ঘ কারাবাস এড়াতে করে থাকে।

“হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার দীর্ঘ সময় জেল খাটার সম্ভাবনা থাকলেও সেই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সে কারাবাসের মেয়াদ কমিয়েছে।”

মার্কিন আদালতে প্রসিকিউশনের নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ‘অপহরণ, ভয় দেখানো ও ক্ষতি করাই’ ছিল তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য।  সিজার কিছু তথ্য বাংলাদেশি ‘একজন সাংবাদিককে’ সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে ‘প্রায় ৩০ হাজার ডলার’ও পেয়েছিলেন বলেও সেখানে উল্লখ করা হয়।

ওই ঘটনাটি নিয়ে ২০১৫ সালের ৩১ মে ঢাকার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। ওই মামলাতেই গত ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

লাস্টিকের সঙ্গে শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল দাবি করে জয় বলেছেন, “যদি তথ্য যোগাড় করার জন্য কোনো সাংবাদিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেয়, সেক্ষেত্রে সেটা অপরাধ। এটা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অপরাধ, তাই যুক্তরাষ্ট্রেও শফিক রেহমানের বিচার হতে পারে।

“সবশেষে জানাতে চাই, শফিক রেহমান মার্কিন নাগরিক না হয়েও ঘুষের মাধ্যমে এফবিআই এর গোপন নথি কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এটা গুপ্তচরবৃত্তি এবং এর শাস্তি কোনো দুর্ভেদ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলে আজীবন কারাবাস।”

গত শতকের ৮০ এর দশকে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন সম্পাদনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া শফিক রেহমানের সঙ্গে পরে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের ‘নোংরা’ কূটকৌশলের অংশ হিসেবে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি তথ্য পেয়েই শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত