সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

১৭ জুন, ২০১৬ ১৪:১৬

সংবাদ উৎস হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে

সংবাদ উৎস হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এখন সোস্যাল মিডিয়াভিত্তিক সংবাদে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। সংবাদের জন্য সোস্যাল মিডিয়ার গ্রহণযোগ্যতা এতটাই ক্রমবর্ধমান যে, তরুণ প্রজন্মের সংবাদ উৎস হিসেবে এরই মধ্যে টেলিভিশনকে ছাড়িয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজম’ শীর্ষক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্যই ।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮-২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সংবাদের মূল উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন। পাশাপাশি ২৪ শতাংশ তরুণ-তরুণী সংবাদের জন্য টেলিভিশনের বিকল্প হিসেবে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন।

শুধুই কি তরুণ প্রজন্মের কাছে সংবাদ উৎস হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম? ঠিক এমনটা নয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৫১ শতাংশই সংবাদ উৎস হিসেবে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সাশ্রয়ী মূল্য ও সহজলভ্য হওয়ায় স্মার্টফোন এখন সবার হাতে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে প্রসার ঘটেছে ইন্টারনেট সেবার। মোবাইল ডিভাইসের কল্যাণে এখন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠছে। সহজেই তরা এ ধরনের মাধ্যমগুলোয় প্রবেশ করছে।

সাম্প্রতিক এ প্রতিবেদন বিশ্বের ২৬টি দেশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গবেষণা ফলাফলের সূচনাতেই বলা হয়, বৈশ্বিকভাবে সংবাদ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর দ্বিতীয় ধাপের একটি ভাঙন লক্ষ করা যাচ্ছে। বিষয়টি ভবিষ্যত্ নিউজ প্রডাকশন ও প্রকাশক উভয়ের জন্যই সম্ভাব্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ কারণে অনেক পুরনো গণমাধ্যম এখন অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে। অনেকেই প্রিন্ট সংস্করণের পাশাপাশি অনলাইন সংস্করণ চালু করতে বাধ্য হচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংরেজি ভাষাভিত্তিক দেশগুলোর ১০ শতাংশ মানুষ অনলাইনে সংবাদ পেতে গত বছরজুড়ে বিপুল ব্যয় করেছে। অনলাইনে সংবাদ পেতে তারা মূল্য পরিশোধেও ইচ্ছুক। বিষয়টি শুধু গণমাধ্যমগুলোকেই নয়; একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতাদেরও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। বেশকিছু কোম্পানি এখন বিজ্ঞাপনের জন্য গতানুগতিক মাধ্যমের চেয়ে অনলাইন মাধ্যমগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য তারা বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কারণ এ ধরনের মাধ্যমগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, ইন্টারনেটের এ যুগে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া দিনকে দিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে। টিকে থাকতে হলে ক্রমবর্ধমান প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিকল্প নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত