সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জুলাই, ২০১৬ ২৩:৪৪

ফেসবুকে ও মিডিয়ায় এখন শতশত কমান্ডো, নিরাপত্তা বিশ্লেষক!

গুলশানে জঙ্গি হামলা নিয়ে ফেসবুক ও মিডিয়ায় নানামুখী আলোচনার সময়ে সে সম্পর্কে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ও লেখক ফজলুল বারী।

তিনি লিখেছেন, ফেসবুকে, দেশের মিডিয়ায় এখন শতশত কমান্ডো, নিরাপত্তা বিশ্লেষক! মিডিয়া বলেছিল এতজন জঙ্গি ভিতরে তারা বাকিরা গেলো কোথায়? আরে বাবারা মিডিয়া তখন কত দূর থেকে রিপোর্ট করেছে, ভেতরে কেউ গিয়ে দেখেছিল কী ভেতরে কতজন আছে না ভিতরে যাওয়া সম্ভব ছিলো! তাই ফার্স্ট হ্যানড রিপোর্টের সংগে চূড়ান্ত রিপোর্টের তথ্যে অনেক গড়বড় থাকতে বা হতেই পারে।

এ প্রসঙ্গে নিজের সাংবাদিকতা জীবনের এক অভিজ্ঞতা শেয়ার পরবর্তীতে তিনি লিখেছেন, যুদ্ধ ও সংঘাত বিষয়ে আমি যতোটা পড়েছি এমন অভিযানে অফেনডারদের ক্লান্ত করতে সময় নেয়া হয়।

ফজলুল বারী লিখেন-

ফেসবুকে, দেশের মিডিয়ায় এখন শতশত কমান্ডো, নিরাপত্তা বিশ্লেষক! মিডিয়া বলেছিল এতজন জঙ্গি ভিতরে তারা বাকিরা গেলো কোথায়? আরে বাবারা মিডিয়া তখন কত দূর থেকে রিপোর্ট করেছে, ভেতরে কেউ গিয়ে দেখেছিল কী ভেতরে কতজন আছে না ভিতরে যাওয়া সম্ভব ছিলো! তাই ফার্স্ট হ্যানড রিপোর্টের সংগে চূড়ান্ত রিপোর্টের তথ্যে অনেক গড়বড় থাকতে বা হতেই পারে।

সেনা অভিযান নিয়ে একশ প্রশ্ন! সেনাবাহিনীর এই করার দরকার ছিল সেই করার দরকার ছিল! বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধ ও সংঘাত কোর্সটি পড়ানো হয় কীনা জানিনা। এটি পড়া লোকজন এমন সরল প্রশ্ন সব করতে পারেন না।

একটা ঘটনা শেয়ার করি।

একবার সিলেটের মাগুরছড়া গ্যাস ফিল্ডে আগুন লাগলো। আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটার দল আনা হলো সিংগাপুর থেকে। তারা প্রতিদিন একবার তাদের হেভি সব পোশাক পরে আগুনের পাশ দিয়ে হেঁটে যায় আর আমাদের ফটোগ্রাফাররা ছবি তোলেন। আর আমরা রিপোর্টাররা প্রতিদিন লিখি এত টাকা দিয়ে ফায়ার ফাইটার আনা হয়েছে, কিন্তু তারা আগুন নেভানোর কোন কাজ করছেনা! সেই ফায়ার ফাইটার দলের এক সদস্যের সংগে একবার সিংগাপুরে দেখা। দেশে যেহেতু তারা মিডিয়ার সংগে কথা বলতোনা, সেই সুযোগে তাকে প্রশ্নটি করেছিলাম। সে বলেছিল তাদের প্রশিক্ষণটাই এ রকম। তারা যে প্রতিদিন আগুনের পাশ দিয়ে এভাবে হাঁটতেন এটা লোকজনকে সাইকোলজিক্যাল রিলিফ দেবার জন্য। ওই অবস্থায় ওপর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তাতে ভূগর্ভে ক্ষতিকর বিস্ফোরণও ঘটাতে পারে।

যুদ্ধ ও সংঘাত বিষয়ে আমি যতোটা পড়েছি এমন অভিযানে অফেনডারদের ক্লান্ত করতে সময় নেয়া হয়। জঙ্গিরা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে যাদের মারার তাদের মেরে ফেলেছে। তারা ক্লান্ত হবার আগে অভিযান চালাতে গেলে ভেতরে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরও তারা দিগ্বিদিক অবস্থায় মেরে ফেলতে পারতো।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এসব কমান্ডোরা আমেরিকা এবং চীনে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এদের হিংস্রতা দক্ষতার ওপর যদি আস্থা না রাখা হয় আস্থা কাদের ওপর রাখা সম্ভব? না কেউ কেউ এখানে মার্কিন অথবা ভারতীয় হস্তক্ষেপ আশা করছিলেন?

আপনার মন্তব্য

আলোচিত