সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২৪ জুলাই, ২০১৬ ১২:১২

‘রাস্তায় অচেনা কেউ ধর্মীয় আচার নিয়ে খবরদারি করলে ছবি তুলুন, পুলিশকে জানান’

রাস্তাঘাটে চলার পথে অচেনা অজানা কেউ ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচার নিয়ে প্রশ্ন তোলে খবরদারি করলে পুলিশকে জানাতে আহবান করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র এএসপি মাসরুফ হোসেন  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, "ইদানীং একটা নতুন ট্রেন্ড দেখছি। অচেনা অজানা বোরখা পরা মেয়েরা এসে হুট করে বোরখা পরা নেই এমন মেয়েদের হুমকি ধামকি দিয়ে তারপর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। "

তিনি তার মেইল আইডি দিয়ে বলেন , "অপরিচিত কেউ এই জাতীয় উটকো কাজ করতে এলে সাথে সাথে তার ছবি তুলে রাখুন মোবাইল ফোনে, তারপর জানান আমাকে।"

মাসরুফ লিখেছেন:

ইদানীং একটা নতুন ট্রেন্ড দেখছি।

অচেনা অজানা বোরখা পরা মেয়েরা এসে হুট করে বোরখা পরা নেই এমন মেয়েদের হুমকি ধামকি দিয়ে তারপর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহে চায়ের দোকানে বসা আমার এক বান্ধবীকে এই কাজ করেছে আজকে। একটু আগে শুনলাম সিএনজিতে করে যাওয়া একজনকে সিএনজিওয়ালা চার কলেমা জিজ্ঞাসা করেছে, ভাড়া দিতে যাবার সময় বলেছে, লাগবেনা, ভাল হয়ে চলেন।

সুস্পষ্টভাবে একটা জিনিস বলতে চাই, একজন নাগরিক ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করেন কিনা এটা দেখার দায়িত্ব সর্বপ্রথম স্রষ্টার, তারপর তার নিজের, তারপর খুব বেশি হলে তার পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের- যদি সে এলাউ করে।

রাস্তাঘাটে এভাবে হুটহাট নসিহত করতে আসা বদমায়েশগুলোর কাজ আর কিছু না, আপনাকে ভয় দেখানো।

অপরিচিত কেউ এই জাতীয় উটকো কাজ করতে এলে সাথে সাথে তার ছবি তুলে রাখুন মোবাইল ফোনে, তারপর জানান আমাকে।

[email protected]

বিদেশে থাকায় সরাসরি কিছু করতে পারছিনা, তবে এই বদমায়েশগুলোর রেকর্ড সাইবার সেলে পৌঁছে দেব নিজ দায়িত্বে।

মোবাইল ক্যামেরা রেডি রাখুন, ভিডিও করুন। না পারলে ছবি তুলুন।

একই সাথে, শত্রুতাবশত বা ফাজলেমী করে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষকে হয়রানি করবেন না। ইনভেস্টিগেশন করলে যদি এরকম বের হয়, আপনার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সামাজিকভাবে এই বদমায়েশ গুলোকে প্রতিহত করুন।

ভয় পাবেন না, আপনার ভীতিই হচ্ছে এই সাড়ে শয়তানগুলোর শক্তি।

দেশটা ওদের বাপের না, এটা দেখিয়ে দিন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত