সৈকত ভৌমিক

০৯ নভেম্বর, ২০১৬ ১৯:৫৮

উত্তম বড়ুয়া কি আদৌ বেঁচে আছে?

ইস্যু আসে ইস্যু যায় আর এই ইস্যুর পেছনে দৌড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় কিছু মানুষ আর বাড়তে থাকে কিছু পরিবারের সদস্যদের স্বজন হারানোর বেদনা।

রামু ঘটনার জন্যে যে উত্তম বড়ুয়ার আইডিকে দায়ী করা হয়েছিলো সেই উত্তম বড়ুয়া নিখোঁজ সেই ঘটনার পর থেকে এখন অবধি। মানে প্রায় ৪ বছর ধরে উত্তম বড়ুয়ার পরিবার বা কেউই জানে না কোথায় তিনি।

সেই সময়ে যে প্রশাসন প্রথমে বলেছিলো উত্তম বড়ুয়া "ভয়ংকর" একজন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় বাধ্য করা হয়েছিলো জান বাঁচাতে পালিয়ে যেতে সেই প্রশাসনই পরে বলেছিলো উত্তম বড়ুয়াকে কেউ ফাঁসিয়েছিল কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রশাসন বা কেউই চেষ্টাও করেনি উনাকে খুঁজে বের করার।

প্রশাসন বা কারো কি আসে যায় একজন উত্তম বড়ুয়া নিখোঁজ থাকলে? যা হারাবার তাতো হারাইছে উনার পরিবার। স্ত্রী তো ভয়ে স্বামীকে খুঁজে দেয়ার দাবীও জানাতে পারে না কারো কাছে আর একমাত্র সন্তানও থাকে নিশ্চুপ।

যেহেতু মামলা হয়েছিলো বেশ কিছু সেই হিসেবে চার্জশিট দেয়া মামলার প্রধান আসামীকেও খুঁজে বের করা প্রশাসনেরই দায়িত্ব। কিন্তু বিভিন্ন বক্তৃতাতে এমপি মন্ত্রী সহ হর্তাকর্তাদের মুখে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত ফলাফল হলো শূন্য।

বিচারাধীন মামলা হয়তো কোন এক সময়ে রায় হবে কিন্তু উত্তম বড়ুয়া বা তার পরিবারের ৪ টা বছর কি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব? উত্তম বড়ুয়া কি আদৌ বেঁচে আছে? কখনো কি ফিরে আসবে?

এই হিসেবে অবশ্য নাসিরনগরের ঘটনাতে অভিযুক্ত রসরাজের পরিবার সৌভাগ্য যারা জানে সে বেঁচে আছে কিন্তু তারাও এটা জানে না যে ছাড়া পাওয়ার পরে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে।

রসরাজের ব্যাপার সহ পুরো ঘটনার ব্যাপারে সুষ্ঠু বিচারের কথা বলছে বহুজনে তবে রামুর কথা চিন্তা করলে তো বলতে হয় পরবর্তী ৪ বছরে এই ঘটনার বিচারও হবে না।

কোন এক সময় হয়তো আমরা এই নাসিরনগরের ঘটনাকেও ভুলে যাবো অন্য কোন ইস্যুর আড়ালে কিন্তু ধর্মীয় উস্কানিতে হামলা মামলার শিকার হওয়া পরিবার গুলি কি পারবে সেই দুঃসহ সময়গুলো ভুলতে?

আদৌ কি সম্ভব?

আপনার মন্তব্য

আলোচিত