আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল

০৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১২:২০

আন্দোলন কোন কোটা বাতিলের জন্য?

কোটা নিয়ে কিছু বিষয় ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন।

কোটার সিস্টেম হচ্ছে ৪৪% মেধা, ৩০% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ৫% ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ১০% জেলা কোটা, ১০% নারী কোটা এবং প্রতিবন্ধিদের জন্য ১%।

আন্দোলনকারীরা মোট কোটা ১০% করার যে দাবি তুলেছে শুধু অগ্রহণযোগ্য নয়, বৈষম্যমূলকও। কোটা পদ্ধতি সকল স্থান, জাতি, বর্ণ ও অঞ্চল নির্বিশেষে সুষমভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে কার্যকর প্রশাসনের জন্য অত্যাবশ্যক। সারা বিশ্বেই এ নীতি অনুসৃত হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে কোন কোটা বাতিলের জন্য?

এ বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন কারণ মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ৭৫ এর পর থেকে সকল সরকারের এলার্জি ছিল। ৯৬ এর আগে পর্যন্ত নামমাত্র যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল তা সবসময় শূন্য থাকতো এবং তা পূরণ করা হত না। বর্তমানে পদ শূন্য থাকলে মেধা কোটায় তা পূরণ করার ঘোষণা এসেছে।

যেহেতু অন্যান্য কোটা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলেও আবশ্যক, তাই আন্দোলনকারীদের ঘোষণা করা উচিত যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে হবে।
আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নই, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আমার কখনো আপত্তি ছিল না। আমি আমার অবস্থান তুলে ধরেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের অবস্থান তুলে ধরা।

জনমত কোটার বিরুদ্ধে বুঝতে পারছি। কিন্তু তাই বলে আন্দোলনের নামে যে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে তা কি গ্রহণযোগ্য? শিক্ষাঙ্গনের কক্ষ যারা ভাংচুর করছে তারা ছাত্র হয় কিভাবে? একই সাথে বিকৃত তথ্য দিয়ে, ৫৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা উল্লেখ করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এখানে কোটার চেয়ে রাজনৈতিক সুবিধাভোগের অপচেষ্টা বেশি দেখা যাচ্ছে। এরাই আবার কিছুদিন পর দাবি করবে মুক্তিযোদ্ধার দল।

যাই হোক, এ জাতির চরিত্র বিবেচনা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১০% করা উচিত। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরিরা এ সময়ের কথা স্মরণ রাখবে কিনা কে জানে!

  • আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল: সাবেক ছাত্রনেতা ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
  • [ফেসবুক থেকে]

আপনার মন্তব্য

আলোচিত