সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০১৮ ১৪:১৯

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগঠনের দশম চ্যাপ্টার গঠন

যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ার ৮ দেশীয় প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগঠন অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার-অ্যাসাল’র দশম চ্যাপ্টার গঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে আলবেনি ক্যাপিটাল রিজিওন চ্যাপ্টারের যাত্রা শুরু হয়।

আলবেনিতে নিউ ইয়র্ক স্টেট এএফএল-সিআইও’র হেডকোয়ার্টার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীদের এক সভায় অ্যাসাল’র আলবেনি ক্যাপিটাল রিজিওন চ্যাপ্টার গঠন করা হয়।

অ্যাসাল’র  প্রতিষ্ঠাতা এবং ন্যাশনাল কমিটির প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাসাল’র ন্যাশনাল কমিটির সেক্রেটারি মো. করিম চৌধুরী, নিউ ইয়র্ক সিটি ভোটার এসিসটেন্স কমিশনার মাজেদা এ উদ্দিন, আলবেনী সিটি হিউম্যান রাইটস কমিশনার ড. ব্রেন্ডা জে রবিনসন।

অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মিঠু আমিনুল ভূঁইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথিরা ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাডসন সিটির ৩নং ওয়ার্ড কমিশনার শেরশাহ মিজান, হাডসন টাউনশীপ সুপারভাইজার আবদুস মিয়া, এনওয়াইএস এএফএল-সিআইও’র সেক্রেটারি-ট্রেজারারের স্পেশাল এসিস্টেন্ট ফারেদ মিশেলেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাসাল প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দীন অ্যাসাল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, আমেরিকায় দক্ষিণ এশীয়দের শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক, শিক্ষাগত ও প্রেরণাদায়ক শক্তি তৈরির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ানদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মূলধারার রাজনীতিতে তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করার জন্য জোরালো ভূমিকা রাখছে। অ্যাসাল সবাইকে এক ছাতার নিচে এনে সকল ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশীয়দের ক্ষমতায়নের প্রয়াস চালাচ্ছে। যাতে আমেরিকার প্রতিটি রাজ্যে দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটি তাদের অভীষ্ট লক্ষে পৌছাতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাসাল সেক্রেটারি মো. করিম চৌধুরী অ্যাসালকে একটি জাতীয় আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করে বলেন, অ্যাসালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দীনের আদর্শিক নেতৃত্বে দক্ষিণ এশীয়দের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে অ্যাসাল। ইতিমধ্যেই মূলধারায় অ্যাসালের গুরুত্ব বেড়েছে। আগামীতে আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ান কমিউনিটির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করার জন্য অ্যাসাল জোরালো ভূমিকা রাখবে।

মাজেদা এ উদ্দিন বাংলাদেশীসহ এশিয়ান কমিউনিটির উন্নয়নে অ্যাসালের নানামুখী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা অ্যাসালের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।

সভায় নবগঠিত আলবেনি ক্যাপিটাল রিজিওন চ্যাপ্টারের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান এবং সেক্রেটারি হয়েছেন মাজহারুল রিপন।

২০১৮-২০১৯ সালের জন্য গঠিত এ কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন- এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ খান তুষার, অর্গানাইজিং ডাইরেক্টর হুমায়ূন কবীর, করেসপন্ডিং সেক্রেটারি আলমগীর মনসুর মারুফ, ট্রেজারার মিঠু আমিনুল ভূঁইয়া, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর জাবেদ মনির, উইমেন্স কমিটি চেয়ার সুরভী ইসলাম, ইমিগ্রেশান ডাইরেক্টর আবদুস মিয়া, পলিটিকেল একশান ডাইরেক্টর নুরুল আবেদীন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন মানিক, আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম হাফিজ ও হেনরী রশিদ। ট্রাস্টি এহতেশাম খন্দকার ও শেরশাহ মিজান। ইউথ কমিটি- সারা শেরেস্তা ও মোহাম্মদ রনি।

কমিটির কর্মকর্তাদের শপথ গ্রহণ করান অ্যাসাল’র প্রতিষ্ঠাতা এবং ন্যাশনাল কমিটির প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দীন। তিনি এ সময় অভিষিক্ত কর্মকর্তাদের সাফল্য কামনা করে প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অ্যাসলের নীতি-আদর্শে অবিচল থেকে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় বাংলাদেশীসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত