সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৬:৪৬

গ্রেনেড হামলার রায়ে অসন্তোষ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের

২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ। রায়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ জানায়, 'বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হওয়া উচিত ছিল।'

বুধবার (১০ অক্টোবর) একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার অন্য ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর এই নৃশংস গ্রেনেড হামলার বিচার হল যার প্রাইম টার্গেট ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাকে টার্গেট করেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। হাওয়া ভবন থেকে এই হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল।

মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৪ বছর ধরে মানুষের আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই গ্রেনেড হামলা। এই হামলায় মোট ২৪ জনের প্রাণ ঝড়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মামলার কোন গুরুত্ব ছিল না। তারা আলামত নষ্ট করেছিল। এফবিআই দিয়ে মামলার তদন্ত করলেও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে দেশ ঢুকতে দেয়া হয়নি। এই মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল। তখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল হাওয়া ভবন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নান অপারেশনের আগে তারেক রহমানের অনুমতি নিয়েছিল বলে আদালতে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক খান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সিনিয়র সহসভাপতি শিব্বীর আহমেদ, সহসভাপতি জি আই রাসেল, সহসভাপতি জুয়েল বড়ুয়া, সহসভাপতি মজিবুর রহমান খান, সহসভাপতি বদরুল আলম, সহসভাপতি আকতার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী বাকী, যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক মনির পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ন দেবনাথ, প্রচার সম্পাদক শামীম হায়দার প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত