রিপন দে

০৫ এপ্রিল, ২০১৮ ২৩:৫৫

'কালা মথুরা'

দিন দিন মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল দখল করে মানুষ গড়ছে ঘর-বাড়ী, কারখানা। বন উজাড় হচ্ছে যত বেগে ঠিক তত বেগে হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী। দেশের প্রতিটি বন হারাচ্ছে জীব বৈচিত্র্য।

হুমকির মুখে আছে বেশীর ভাগ প্রজাতির প্রাণীর ভবিষ্যৎ। এভাবে চলতে থাকলে আমরা একদিন হয়ত শুধু ছবির পাতাতেই খুঁজে পাব প্রাণিজগৎ।

হাজারো বৈচিত্র্যময় প্রাণীতে ভরপুর ছিল আমাদের এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ যা এখন অনেকটাই নেই। প্রাণি জগতের বেশীরভাগ প্রাণি আজ বিরল বা বিপন্ন প্রজাতিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। নানা রংয়ের না বর্ণের, নানা অঞ্চলের না বৈচিত্র্যময় প্রাণী আমাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য।

সুন্দর এই প্রাণিদের একটি হচ্ছে 'কালা মথুরা বা কালো ময়ূর'। 'কালা মথুরা' কে সাধারণত মৌলভীবাজারের লাউয়ছড়া জাতীয় উদ্যানসহ সিলেট এবং চট্টগ্রামে চির সবুজ বনে দেখা যায়।

এরা বনের পাশে, জঙ্গল সংলগ্ন স্থান ও বাঁশের ঝোপে ছোট ছোট দলে বা জোড়া জোড়ায় মিলে বিচরণ করে।

কালা মথুরার ইংরেজি নাম: kalij pheasant বৈজ্ঞানিক নাম: lophura leucomelanos. দেখতে অতি সুন্দর এই পাখি সহজের নজরকাড়ে যে কারো।

কালা মথুরা কালচে নীল রংয়ের ভু-চর পাখি। এদের দৈর্ঘ্য কমবেশি ৬২ সেন্টিমিটার, ডানা ২২ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ৩.৫ সেন্টিমিটার, পা ৭.৫ সেন্টিমিটার, লেজ ২৩ সেন্টিমিটার ও ওজন ১.৩ কেজি। পুরুষ পাখির পিঠ উজ্জ্বল নীল রঙের। পাথার পালক খাড়া থাকে।কোমর ও পেছনের পালকের প্রান্ত সাদা। স্ত্রী পাখির মাথার চওড়া ও লেজের পালক হালকা বাদামি রংয়ের।

পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় পাখির চোখ পিঙ্গল থেকে কমলা-বাদামি। চোখের পাশের পালকহীন চামড়া টকটকে লাল। পা এবং পায়ের পাতা বাদামি রংয়ের। কালা মথুরা খাদ্য হিসেবে বাঁশ বীজ, ডুমুর, পিপড়া, উইপোকা, ছোট সাপ, টিকটিকি ইত্যাদি খেয়ে থাকে। সাধারণ মাটি থেকে কুড়িয়ে খাবার খায়। সাধারণত মার্চ থেকে অক্টোবরের ভিতরে এরা প্রজনন সম্পন্ন করে থাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত