সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৩:৪৯

মতবিরোধ কমাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গতকাল রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পেঁৗছেছেন। সেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করবেন। গতকাল সফরের প্রথম দিনে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভূমিকা এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রবল মতবিরোধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার সমস্যার মূলে বাশারকে অভিযুক্ত করে তার পদত্যাগ দাবি করে আসছে। তবে রাশিয়া চায়, বাশার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকুক। তাদের কথা হলো, বাশারের ক্ষমতায় থাকা না-থাকা নির্ভর করছে সিরীয় জনগণের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার ওপর।

সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে জন কেরি বলেন, 'পরাক্রমশালী রাষ্ট্রগুলো যখন নিজেদের সাধারণ বিষয় নিয়ে একমত হতে পারে, তখন অনেক বড় সমস্যা আপনা আপনিই মিটে যায়। এতে বিশ্বের মানুষদের জন্য একটা ইতিবাচক সম্ভাবনা তৈরি হয়। মনে হয় আমাদের আজকের বৈঠকে কিছু না-কিছু ইতিবাচক প্রভাব পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, আইএসকে সব দেশই সাধারণ শত্রু হিসেবে চিনেছে। তাই এই দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে সব রাষ্ট্রকে যুদ্ধ করতে হবে।

এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটনের সমালোচনা করে বলেছে, তারা 'ভালো' সন্ত্রাসী ও 'খারাপ' সন্ত্রাসী নামে সন্ত্রাসীদের বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

আইএস দমনের নাম করে রাশিয়া সিরিয়ায় তাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান থেকে বোমা ছুড়ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো, রাশিয়া আইএসের ওপর হামলার নামে সিরিয়ার মধ্যপন্থি বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে। সিরিয়ার এই 'মডারেট' বিদ্রোহীদের দাবি হলো বাশার আল আসাদের পদত্যাগ। তবে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ওই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত মিত্র জোট সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করে আসছে। তবে এ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাদের সঙ্গে সিরীয় কর্তৃপক্ষের কোনো যোগাযোগ নেই। মূলত পশ্চিমা শক্তিগুলো বাশারকে উৎখাত করেই সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, দেখতে চায়।

এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা সবাই মিলে সৌদি আরবের রাজধানীতে বসে বাশারকে উৎখাত এবং সিরিয়ায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হলেও রাশিয়া বাশারকে ছাড়া কোনো পক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত