আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১০:৩৬

স্পেনে সাধারন নির্বাচন : ক্ষমতাসীন পিপি’র নেতৃত্বে জোট সরকার হচ্ছে

স্পেনে সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল পপুলার পার্টি (পিপি) সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। তবে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এ কারণে পিপিকে জোট সরকার গঠন করতে হবে। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্পেনে গতকাল রোববার ওই নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়। দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ইতিহাসে গতকালের নির্বাচনকে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনগুলোর একটি বলে মনে করা হচ্ছিল।

প্রায় সব ভোটই গোনা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন পিপি পেয়েছে ১২৩টি আসন। সমাজতন্ত্রী দল পেয়েছে ৯০টি আসন। ব্যয় সংকোচনবিরোধী বামপন্থী দল পোয়েমস পেয়েছে ৬৯টি আসন। উদারপন্থী একটি দল পেয়েছে ৪০টি আসন।

নির্বাচন নিয়ে পূর্বাভাসে আগেই বলা হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহয়ের ক্ষমতাসীন পপুলার পার্টি অধিকাংশ ভোটারের সমর্থন পাবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এতে দলটি অন্য কোনো দলকে নিয়ে একটা অস্বস্তিকর জোট গঠনে বাধ্য হতে পারে। কিংবা দলটিকে সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে দেশ চালাতে হতে পারে।

স্পেনে তিন দশকের বেশি সময় ধরে পিপি ও সমাজতন্ত্রী—এই দুই দলীয় ব্যবস্থা চলে আসছে। দেশটির রাজনীতিতে নতুন দুটি দল বেশ প্রভাব বিস্তার করায় এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্পেন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুই দলীয় ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে পোয়েমস দলের এক মুখপাত্র বলেছেন, নির্বাচনের ফল এটাই প্রমাণ করছে যে, স্পেনে দুই দলীয় রাজনীতি শেষ। দেশ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছে।

নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ক্ষমতাসীন পপুলার পার্টির ১৭৬টি আসন দরকার ছিল। কিন্তু তারা ১২৩টি আসন পেয়েছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে অনেক কম। বিদায়ী পার্লামেন্টে দলটির আসনসংখ্যা ১৮৬টি।

প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহয় বলেছেন, ‘আমি একটি সরকার গঠনের চেষ্টা করব, একটি স্থিতিশীল সরকার। এই দল (পপুলার পার্টি) এখনো স্পেনের এক নম্বর শক্তি।’

প্রধানমন্ত্রী মুখে যা-ই বলুন না কেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন পপুলার পার্টির পক্ষে সরকার গঠন সহজ হবে না বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত