ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৬ মার্চ, ২০১৬ ০৮:৩৩

সিরিয়া ত্যাগ করতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আকস্মিক নির্দেশের পর সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রথম দফায় রাশিয়ার একঝাঁক যুদ্ধবিমান সিরিয়ার মাটি ছেড়ে দেশের উদ্দেশে উড়ে গেছে।

জেনেভায় শান্তি আলোচনার দ্বিতীয় দিনে একগুচ্ছ যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় মস্কোর স্থায়ী বিমান ঘাঁটি ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আপৎকালীন সুরক্ষার লক্ষ্যে সিরিয়ায় তাদের উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখা হবে। অব্যাহত থাকবে বিমান হামলা।

আগের দিন সোমবার মস্কোর অধিকাংশ সেনা ও যুদ্ধবিমান প্রত্যাহারের আকস্মিক ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান শুরুর পাঁচ মাসের মধ্যে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন। জেনেভায় নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে তার এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে প্রেসিডেন্ট আসাদকে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগের দিনই অবহিত করেন পুতিন। সিরিয়া মনে করে, সেনা প্রত্যাহারের পরও আসাদ সরকারের প্রতি সমর্থন বজায় রাখবে রাশিয়া। খবর :বিবিসি, এএফপি।

রুশ বাহিনীর আংশিক প্রত্যাহার নিয়ে পুতিনের সঙ্গে সোমবার আলোচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামারও। পুতিনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গৃহযুদ্ধের অবসানে অস্ত্রবিরতির ক্ষেত্রে রুশ পদক্ষেপ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান ডি মিস্তুরা। একই ধারণা ইরানেরও। অন্যদিকে, জার্মানি মনে করছে, মূলত সিরিয়ার বাশার আল আসাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছেন পুতিন। তবে পুতিনের এ পদক্ষেপের প্রভাব পর্যবেক্ষণের অপেক্ষায় সরকারবিরোধীরা।

মংগলবার একঝাঁক যুদ্ধবিমান সিরিয়া ছেড়ে যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথমবারের মতো একঝাঁক রুশ যুদ্ধবিমান সিরিয়ার মেইমিম বিমান ঘাঁটি থেকে রুশ ফেডারেশনের এই অঞ্চলের স্থায়ী ঘাঁটির উদ্দেশে উড়ে গেছে। সিরিয়া থেকে অন্যসব সেনা প্রত্যাহার করা হলেও দেশটির তারতুস বন্দর ও লাতাকিয়া প্রদেশের হিমেইমিম বিমানঘাঁটিতে সেনা থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত