ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১১ মে, ২০১৫ ০৩:১৪

মানবপাচারের আরেক রুট ইন্দোনেশিয়া: উদ্ধার পৌণে পাঁচশ অভিবাসী

মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের পর মানবপাচারের আরেক রুট আবিষ্কার হয়েছে। এবার ইন্দোনেশিয়ায় পৌণে ৫০০ অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির পশ্চিমঞ্চলীয় উপকূল থেকে রবিবার সকালে উদ্ধার হওয়ায় নৌযানে বিদেশগামী ওই অভিবাসীরা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিক বলে ইন্দোনেশীয় পুলিশ জানিয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, এপি।

জাকার্তাভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মিশন উপপ্রধান স্টিভ হ্যামিল্টন জানান, চারটি নৌকায় পৌণে ৫০০ জন অভিবাসী ছিল। তাদের মধ্যে বেশ কিছু নারী ও শিশুও রয়েছে। উদ্ধার হওয়াদের অনেকেই অসুস্থ। নৌকাগুলো আচেহ প্রদেশের সাব জেল সানুদ্দনে আনা হয়। ত্রাণকর্মীদের সেখানে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, মানব পাচারকারীরা তিনটি নৌকা সমুদ্রের উপকূলে রেখে পালিয়ে যায়। অন্যটিতে তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় সমুদ্রে ভাসছিল। ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের পুলিশ স্টেশন ও নিকটস্থ মসজিদে নেওয়া হয়েছে।

তাদের সেবা দেয়া হচ্ছে। আচেহ প্রদেশের উদ্ধারকারী দলের প্রধান বুডিয়াওয়ান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নৌযান ভর্তি ‘অসহায়’ মানুষের কথা প্রথম জেলেদের কাছ থেকে জানতে পারি। আমাদের টিম সেখান গিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে আসা অন্তত ৪৬৯ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে। তারা নিরাপদ রয়েছেন।

ওই নৌকায় থাকা মিয়ানমারের নাগরিক মোহাম্মদ জুনাইয়েদ বলেন, তারা দুই মাস আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে নৌকায় বেরিয়ে পড়েন। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বলে তিনি জানান।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা মিয়ানমারের আরাকান প্রজেক্টের প্রধান ক্রিস লেওয়ারের মতে, মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হামলার মুখে গত তিন বছরের প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা নৌকায় করে অন্য দেশে পালিয়েছে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর এটা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে উদ্ধার হওয়া অভিসাসীরা রোহিঙ্গা বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মানব পাচারকারীদের থামার প্রধান স্থান ছিল থাইল্যান্ড। সেখানকার গহীন অঞ্চলে বিদেশগামীদের আটকে রেখে নির্যাতন করে স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হতো।কিন্তু থাইল্যান্ড সরকারের তৎপরতার কারণে তারা রুট পরিবর্তন করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত